ঋণ খেলাপি
ঋণ খেলাপি

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের খেলাপি ঋণের তথ্য যাচাই করবেন ব্যাংকাররা 

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাঁরা অংশ নেবেন, তাঁদের খেলাপি ঋণের তথ্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে দেওয়ার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি)। 

এফআইডির এ–সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। পরিপত্রে বলা হয়, প্রার্থীদের ঋণখেলাপি তথ্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে দিতে হবে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন বা তার আগেই।

এফআইডির জারি করা গত মঙ্গলবারের এ পরিপত্র গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, প্রার্থীদের ঋণখেলাপি–সম্পর্কিত তথ্য নির্ভুলভাবে দেওয়ার দায়িত্ব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের। ভুল তথ্য দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় ব্যাংকের কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত থেকে প্রার্থীদের খেলাপি ঋণের তথ্য মিলিয়ে দেখবেন এবং কোনো ঋণখেলাপি প্রার্থী হয়েছেন কি না, তা নিশ্চিত হবেন।

তবে যেসব প্রার্থী নিজস্ব নির্বাচনী এলাকার পরিবর্তে অন্যত্র ব্যাংক হিসাব বা ঋণ হিসাব পরিচালনা করে আসছেন, তাঁদের তালিকা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ব্যাংকের এমডিরা বিশেষ দূতের মাধ্যমে সংগ্রহ করবেন এবং বিশেষ দূত বা ফ্যাক্স বা ই–মেইলের মাধ্যমে এ তথ্য নির্বাচন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক (সিআইবি) ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকের কাছে পাঠাবেন।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, সরকারি ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি ও অফিস সময়ের পরও সব ব্যাংকের কর্মকর্তারা মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন থেকে বাছাইপ্রক্রিয় শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিজ নিজ দপ্তরে বা রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে উপস্থিত থাকবেন এবং রিটার্নিং কর্মকর্তা কোনো তথ্য বা সহায়তা চাইলে সেই সহায়তা দেবেন।

পরিপত্রে বলা হয়, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে কোনো ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পারলে সেই প্রার্থী নির্বাচনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। 

এ ছাড়া প্রার্থী যদি কোনো কোম্পানির পরিচালক হন এবং ওই কোম্পানি যদি খেলাপি হয়, তাহলেও ওই প্রার্থী নির্বাচন করতে পারবেন না। কেউ পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করলে তা ততক্ষণ পর্যন্ত বৈধ হবে না, যতক্ষণ না তাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের এমডি সম্মতি দিয়েছেন। শুধু সম্মতি দিলেই হবে না, যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশোধনও করতে হবে।

ঋণখেলাপিদের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ ঠেকাতে ১৯৯১ সালে প্রথম খেলাপিদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকে নির্বাচন এলেই নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক এক শ্রেণির ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীদের খেলাপিমুক্ত হওয়ার জন্য ব্যাংকে ধরনা দিতে দেখা যায় বলে জানান একটি রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের এমডি।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, সরকারি ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি ও অফিস সময়ের পরও সব ব্যাংকের কর্মকর্তারা মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন থেকে বাছাইপ্রক্রিয় শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিজ নিজ দপ্তরে বা রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে উপস্থিত থাকবেন এবং রিটার্নিং কর্মকর্তা কোনো তথ্য বা সহায়তা চাইলে সেই সহায়তা দেবেন।

পরিপত্রে বলা হয়, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে কোনো ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পারলে সেই প্রার্থী নির্বাচনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। 

এ ছাড়া প্রার্থী যদি কোনো কোম্পানির পরিচালক হন এবং ওই কোম্পানি যদি খেলাপি হয়, তাহলেও ওই প্রার্থী নির্বাচন করতে পারবেন না। কেউ পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করলে তা ততক্ষণ পর্যন্ত বৈধ হবে না, যতক্ষণ না তাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের এমডি সম্মতি দিয়েছেন। শুধু সম্মতি দিলেই হবে না, যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশোধনও করতে হবে।

ঋণখেলাপিদের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ ঠেকাতে ১৯৯১ সালে প্রথম খেলাপিদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকে নির্বাচন এলেই নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক এক শ্রেণির ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীদের খেলাপিমুক্ত হওয়ার জন্য ব্যাংকে ধরনা দিতে দেখা যায় বলে জানান একটি রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের এমডি।