দেশে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল ব্যাংক গঠনের প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় ৮ প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল ব্যাংক গঠনের প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠানকে পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক গঠনের অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিন প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল উইং চালুর অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাকি তিন প্রতিষ্ঠান পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমতি পাবে। তবে এখন অনুমতি পাওয়া দুই প্রতিষ্ঠানের সেবা কেমন, তা পর্যালোচনার পর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, ৯ প্রতিষ্ঠানের নাম পরিচালনা পর্ষদে উপস্থাপন করা হয়। একটির সঙ্গে বিমা কোম্পানি যুক্ত থাকায় ৮টিকে বিবেচনা করেছে পরিচালনা পর্ষদ।
মেজবাউল হক জানান, নগদ ডিজিটাল ব্যাংক ও কড়ি ডিজিটাল ব্যাংককে পূর্ণাঙ্গ ব্যাংক দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি ১০ ব্যাংকের উদ্যোগে গঠিত ডিজিটেন ডিজিটাল ব্যাংক, বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়ার ডিজিটাল ব্যাংককে ডিজিটাল উইং চালুর অনুমোদন দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া দুই পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক চালুর ৬ মাস পর সেবা পর্যালোচনা করে আরও তিন ব্যাংককে পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এগুলো হলো স্মার্ট ডিজিটাল ব্যাংক, নর্থ ইস্ট ডিজিটাল ব্যাংক ও জাপান-বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক চালুর অনুমতি পাওয়া নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের সঙ্গে বর্তমান উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি রয়েছে সামিট ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান ফরিদ খানসহ অন্যরা। আর কড়ি ডিজিটাল ব্যাংকের মূল উদ্যোক্তা হাবিবুল্লাহ এন করিম, তিনি সাবেক অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিনের স্বামী। এই লাইসেন্স পাওয়ার জন্য ৫২টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে আগামী নির্বাচনের আগেই বহুল কাঙ্ক্ষিত ডিজিটাল ব্যাংক চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। দেশে এর আগে প্রচলিত ধারার ব্যাংক অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনা প্রাধান্য পেত। এবার ব্যবসায়ী ও আমলাদের প্রাধান্য দেখা গেল মনে করছেন খাত-সংশ্লিষ্টরা।