ডিজিটাল ব্যাংকের আগ্রহপত্র পেয়েছে নগদ

দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক হিসেবে কাজ শুরু করতে নগদ ডিজিটাল ব্যাংক লিমিটেডকে আগ্রহপত্রের কপি হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার আজ বুধবার তাঁর কার্যালয়ে নগদ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুকের হাতে ডিজিটাল ব্যাংকের আগ্রহপত্র বা লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) হস্তান্তর করেন।

এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফারাহ মোহাম্মদ নাসের, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (বিআরপিডি) মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক (বিআরপিডি) মো. মনিরুল ইসলাম, নগদের নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নগদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, তিন বছর ধরে দেশে ডিজিটাল ব্যাংকের সেবা চালু করতে নীতিনির্ধারকদের অনুরোধ জানিয়েছে নগদ। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পাওয়ার ফলে সামনের দিনে ডিজিটাল ব্যাংকের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় আধুনিক ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা নিয়ে যেতে ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে নগদ ডিজিটাল ব্যাংক।

নগদ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘আমরা দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে অনুমোদন পেলাম। সাধারণ মানুষ যাঁরা নানা কারণে ব্যাংকে আসতে বাধা অনুভব করেন, তাঁদের কাছেই সেবা নিয়ে হাজির হবে নগদ ডিজিটাল ব্যাংক। এ পদ্ধতিতে গ্রাহককে আর ব্যাংকে আসতে হবে না, বরং ব্যাংকই মানুষের হাতে হাতে ঘুরবে।’

তানভীর এ মিশুক আরও বলেন, ‘আমরা চাই প্রথাগত ব্যবসায়ীদের বাইরে যাঁরা আছেন, তাঁদের কোনোরকম জামানত ছাড়াই এক অঙ্কের সুদহারে ঋণ প্রদান করব। পাশাপাশি ক্ষুদ্র সঞ্চয় স্কিম চালুসহ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন কাজের সবকিছুর সমাধান দেবে ডিজিটাল ব্যাংক। এর মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের পথ আরও সুগম হবে।’ সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ও প্রস্তুতি শেষে স্বল্পতম সময়ে নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের কার্যক্রম চালু করবে বলেও জানান তিনি।

গত রোববার দেশে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল ব্যাংক গঠনের প্রাথমিক অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। সেদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় দুইটি প্রতিষ্ঠানকে পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক গঠনের প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এগুলো হলো নগদ ডিজিটাল ব্যাংক ও কড়ি ডিজিটাল ব্যাংক। পাশাপাশি ১০ ব্যাংকের উদ্যোগে গঠিত ডিজিটেন ডিজিটাল ব্যাংক, বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়ার ডিজিটাল ব্যাংককে ডিজিটাল উইং চালুর অনুমোদন দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এ ছাড়া দুই পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক চালুর ছয় মাস পর সেবা পর্যালোচনা করে আরও তিন ব্যাংককে পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এগুলো হলো স্মার্ট ডিজিটাল ব্যাংক, নর্থ ইস্ট ডিজিটাল ব্যাংক ও জাপান-বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক চালুর অনুমতি পাওয়া নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের সঙ্গে বর্তমান উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি রয়েছেন সামিট ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান ফরিদ খানসহ অন্যরা। আর কড়ি ডিজিটাল ব্যাংকের মূল উদ্যোক্তা হাবিবুল্লাহ এন করিম। ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য ৫২টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছিল।