গত ২২ এপ্রিল প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত ‘প্রবাসীদের তিন ব্যাংকের একটিতে চেয়ারম্যানই সর্বেসর্বা, আরেকটিতে তারল্য–সংকট, অন্যটিতে এমডি-শূন্য’ শীর্ষক সংবাদের অংশবিশেষের প্রতিবাদ জানিয়েছে এনআরবিসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ব্যাংকটির জনসংযোগ বিভাগের প্রধান মো. হারুন-অর-রশিদ স্বাক্ষরিত প্রতিবাদে বলা হয়েছে, প্রতিবেদনে এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমালের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
প্রতিবাদপত্রে বলা হয়েছে, ‘এনজিও হয়ে পড়েছে এনআরবিসি’—একটি তফসিলি ব্যাংকের বিরুদ্ধে এ ধরনের তকমা জুড়ে দেওয়া সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এসকেএস ফাউন্ডেশনের প্রকল্পের মাধ্যমে ৩ হাজার ৩৪৩ কোটি টাকা ক্ষুদ্রঋণ বিতরণের অভিযোগ ভিত্তিহীন। সারা দেশের সব শাখা-উপশাখার মাধ্যমে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মধ্যে এই ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করা হয়। ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের কারিগরি সহায়তা গ্রহণের জন্য এসকেএস ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়েছে। উপশাখা ব্যবসা বা ঋণ কার্যক্রমের সঙ্গে এসকেএস ফাউন্ডেশন কোনোভাবে সম্পৃক্ত নয়। এনআরবিসি ব্যাংক দেশব্যাপী বিস্তৃত উপশাখাগুলোর মাধ্যমে চলতি বছরের ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ৫ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ এবং ৩ হাজার ৬৬৩ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে। ব্যাংকের উপশাখার সাজসজ্জার কাজ দরপত্রের নির্ধারিত পদ্ধতি এবং ব্যাংকের ক্রয়–সংক্রান্ত নীতিমালা অনুসারে সম্পাদিত হয়েছে এবং হচ্ছে।
প্রতিবাদপত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগের বিভিন্ন ধরনের পরিদর্শন চলমান। অফসাইট বা অনসাইটের কোনো পরিদর্শকের হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি। ২০১৮ সালের পর ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা নেই, এমন কাউকে শীর্ষ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ২৫ মার্চ চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমালের সঙ্গে প্রতিবেদকদের সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ ও অনানুষ্ঠানিক কথোপকথনকে বক্তব্য হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পূর্ণকালীন অফিস করা, বিশেষ গ্রুপ তৈরি করা, পরিচালকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোম্পানিতে ঋণ দেওয়া এবং বাজেয়াপ্ত শেয়ার কেনার যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এ ধরনের কিছু ঋণ ২০১৭ সালের আগে দেওয়া হয়েছিল। চেয়ারম্যান নিজে শেয়ার ক্রয় করেননি এবং শেয়ার কেনাবেচার বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অনাপত্তি এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়েছে। নীতিনির্ধারণী প্রয়োজনীয়তা ছাড়া ব্যাংকের চেয়ারম্যান ব্যাংকে আসেন না এবং দৈনন্দিন কোনো কাজে হস্তক্ষেপও করেন না।
প্রতিবেদকের বক্তব্য: প্রতিবেদনে এনআরবিসি ব্যাংক সম্পর্কে যেসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়, তার পর্যাপ্ত নথিপত্র ও ভিডিও চিত্র প্রথম আলোর সংরক্ষণে আছে। চেয়ারম্যান পূর্ণকালীন অফিস করছেন, এ–সংক্রান্ত অভিযোগ যাচাই করতে গিয়েও চেয়ারম্যানকে ব্যাংকে পাওয়া গেছে। সেদিন কোনো সভা ছিল না। সরেজমিনে ওই ব্যাংকে যা দেখা গেছে ও ব্যাংক চেয়ারম্যান যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা–ই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।