সাবেক মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪–দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর পরিবারের সদস্য ও তাঁদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বিএফআইইউ দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে আজ রোববার এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়ে দিয়েছে। এ নির্দেশনার ফলে এসব হিসাবে সব ধরনের লেনদেন বন্ধ থাকবে। চিঠিতে আমির হোসেন আমু ও সুমাইয়া হোসেনের জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মতারিখ উল্লেখ করা হয়েছে।
বিএফআইইউ বলেছে, আগামী ৩০ দিন এসব হিসাবে কোনো লেনদেন করা যাবে না। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তদন্তের প্রয়োজনে ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করার সময় সাধারণত বাড়ানো হয়।
বিএফআইইউর নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো হিসাব স্থগিত করা হলে হিসাব-সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল, যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কাছে পাঠাবে।
আমির হোসেন আমু ঝালকাঠি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ঝালকাঠিতে বিক্ষুব্ধ জনতা তাঁর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন।