বেসরকারি খাতে পরিচালিত এনসিসি ও যমুনা ব্যাংকে নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়েছে। এর আগে এনসিসি ব্যাংকের আগের চেয়ারম্যান ঋণখেলাপি হওয়ার কারণে বাদ পড়েন। আর যমুনা ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাবেক সরকারের একজন মন্ত্রীর ছেলে হওয়ায় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে তিনি পদ ছেড়ে দেন। চলতি সপ্তাহে ব্যাংক দুটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই পরিবর্তন আসে।
জানা যায়, এনসিসি ব্যাংকের বিদায়ী চেয়ারম্যান মো. আবুল বাশার আট ব্যাংক ও দুই আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করেননি। খেলাপি হয়ে পড়ায় বেশ কয়েকটি ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করে। এ কারণে গত সপ্তাহে তাঁর পরিচালক পদ শূন্য ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এমন পরিস্থিতিতে গত সোমবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. নূরুন নেওয়াজ। তিনি ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ড কনকা ও গ্রির উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান ইলেকট্রোমার্ট লিমিটেড এবং ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান। এ ছাড়া তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় বিমা কোম্পানি সেন্ট্রাল ইনস্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান।
এদিকে যমুনা ব্যাংকের বিদায়ী চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম গত বছরের ২৭ এপ্রিল দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ওই পদে তাঁর মেয়াদ ছিল এক বছর। তবে পরে তাঁর মেয়াদ আরও এক বছরের জন্য বাড়ানো হয়। তিনি সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের বড় ছেলে। জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিচালকদের অনেকে তাঁর নেতৃত্বে ব্যাংক পরিচালনা নিয়ে ‘অস্বস্তি বোধ’ করছিলেন।
এমন পরিস্থিতিতে সোমবার যমুনা ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান হয়েছেন রবিন রাজন সাখাওয়াত। তিনি জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টের গ্যেটে ইউনিভার্সিটি থেকে ২০০৯ সালে ফিন্যান্সিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। বাংলাদেশে ফিরে এসে তিনি রবিনটেক্স গ্রুপের পরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। রবিনটেক্স বিশ্বব্যাপী একটি শীর্ষ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক এবং রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত, যা জার্মান-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত। তিনি কম্পটেক্স (বাংলাদেশ) লিমিটেড এবং জার্মান-বাংলা কেমিক্যাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আছেন।