গ্রামীণ টেলিকম ভবনে অবস্থিত আটটি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এসব প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া শুরু হলেও গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি। যদিও গতকাল সকাল থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের লোকজনকে অবস্থান করতে দেখা যায়।
প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে গ্রামীণ কল্যাণ; গ্রামীণ টেলিকম; গ্রামীণ শক্তি; গ্রামীণ সামগ্রী; গ্রামীণ ফান্ড; গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশন; গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশন এবং গ্রামীণ উদ্যোগ। এই ৮টিসহ মোট ১৬টি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় রয়েছে ঢাকার মিরপুরে চিড়িয়াখানা সড়কে অবস্থিত ১৪ তলাবিশিষ্ট গ্রামীণ টেলিকম ভবনে।
প্রতিষ্ঠানগুলোর সূত্র জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় গ্রামীণ ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা ওই ভবনে যান। তাঁরা পরে গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকম কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ নেন।
গতকাল সকাল ৯টার দিকে গ্রামীণ টেলিকম ভবনের সামনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা তাঁদের কার্যালয়ে প্রবেশ করছেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভবনের পঞ্চম তলায় গ্রামীণ কল্যাণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম মঈনুদ্দিন চৌধুরীর কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে কিছু ব্যক্তি এসে তাঁকে বলেন, গ্রামীণ কল্যাণের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দুজন পরিচালকও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এ সময় ওই কক্ষে আরও তিন ব্যক্তি বসা ছিলেন, যাঁরা নিজেদের গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেন। তবে তাঁরা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
এরপর চতুর্থ তলায় গ্রামীণ টেলিকমের অফিসে গেলে সেখানেও উপস্থিত কয়েকজন নিজেদের গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা পরিচয় দেন। এ সময় গ্রামীণ টেলিকমের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা একটি অফিস আদেশের কাগজ দেখিয়ে বলেন, গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকমে নতুন চেয়ারম্যান দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি নূর মোহাম্মদের সঙ্গে সোমবার রাতে ফোনে এবং গতকাল তাঁর কার্যালয়ে গিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কার্যালয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর গতকাল সন্ধ্যায় এমডির একান্ত সচিব (পিএস) শাহিনূর আলম ব্যাংকের গণমাধ্যম সমন্বয়কারী সোহেল রানার সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। রাত আটটায় সোহেল রানা জানান, এমডি তাঁকে বলেছেন, লিখিত প্রশ্ন পাঠালে বুধবার সরাসরি জবাব দেওয়ার সময় দেবেন।