বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক

পণ্যের বিনিময়ে পণ্য দিয়ে আমদানি ও রপ্তানি, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা

বাংলাদেশ ব্যাংক কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতিতে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছে। এই পদ্ধতিতে পণ্যের বিনিময়ে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি করা যাবে। এ ধরনের বিনিময়ে বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন হবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ গতকাল রোববার এই নীতিমালা জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতিতে বাংলাদেশে আমদানি করা পণ্যের মূল্য বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা পণ্যের মূল্য দিয়ে সমন্বয় করা যাবে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রপ্তানিকারক, আমদানিকারক বা ব্যবসায়ীরা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাউন্টার ট্রেড পদ্ধতিতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার চুক্তি করতে পারবে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, স্থানীয় ব্যাংক বিদেশি প্রতিষ্ঠানের নামে বা বাংলাদেশি পক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে এ দেশে এস্ক্রো হিসাব পরিচালনা করবে, যাতে স্থানীয় আমদানিকারকের কাছ থেকে আমদানির সমপরিমাণ অর্থ জমা হবে। জমা করা অর্থের স্থিতি দিয়ে এ দেশ থেকে রপ্তানি করা পণ্যের মূল্য স্থানীয় রপ্তানিকারককে পরিশোধ করা হবে। এস্ক্রো হিসাবের স্থিতি নির্দিষ্ট সময় পরপর বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য নিয়মিত যোগাযোগ রাখবে। বিদেশি পক্ষের মতো বাংলাদেশি পক্ষ বিদেশি ব্যাংকে এস্ক্রো হিসাব পরিচালনা করতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হবে। তবে আকু পদ্ধতির আওতায় আমদানি-রপ্তানিবিষয়ক লেনদেন কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি করা যাবে না।

ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কাউন্টার ট্রেড পদ্ধতিতে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যাংকিং লেনদেনের সেভাবে প্রয়োজন হবে না। ফলে অনুন্নত ব্যাংক ব্যবস্থার জন্য বিশ্বের যেসব দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করা যায় না, সেই সব দেশে বাণিজ্য প্রসারের ক্ষেত্রে নতুন এই নির্দেশনা কাজে দেবে।