বাংলাদেশে ডিজিটাল লেনদেন দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ, ডিজিটাল লেনদেন দ্রুত, সহজ, নিরাপদ এবং সুবিধাজনক। ইতিমধ্যে অনেক আর্থিক সেবাই ডিজিটাল হয়েছে।
এর মধ্যে কার্ডভিত্তিক পেমেন্ট, কিউআর কোডভিত্তিক পেমেন্ট, ফান্ড ট্রান্সফার, অ্যাপভিত্তিক ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট বেশ জনপ্রিয়।
এখন গ্রাহকেরা ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করে তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারেন, বিল পরিশোধ করতে পারেন এবং অন্যান্য লেনদেন করতে পারেন। এ ছাড়া বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে গ্রাহকেরা পণ্য কিনতে পারেন, বিভিন্ন বিল প্রদান করতে পারেন এবং টিকিট বুক করতে পারেন।
সরকার ডিজিটাল লেনদেনকে উৎসাহিত করার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করছে। ব্যাংকগুলোও ডিজিটাল লেনদেনের জন্য নতুন নতুন সেবা চালু করছে। আশা করা যায়, ভবিষ্যতে আরও বেশি মানুষ ডিজিটাল লেনদেন ব্যবহার করবে এবং বাংলাদেশ একটি ক্যাশলেস সমাজে পরিণত হবে।
১৯৯৭ সালে কার্ডভিত্তিক পেমেন্ট সেবা বাংলাদেশে শুরু হয়। এরপর প্রায় দুই দশক পরে কার্ড আজ আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহকেরা দৈনন্দিন লেনদেন সহজেই সম্পন্ন করাসহ উপভোগ করছেন দারুণ সব সেবা। তাই বর্তমানে কার্ড আর বিলাসবহুল পণ্য নয়, এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে গেছে। ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশে অ্যাপভিত্তিক পেমেন্ট সেবা শুরু হয়। এমটিবি বাংলাদেশে প্রথম বাংলা কিউআর কোডভিত্তিক পেমেন্ট সুবিধা নিয়ে আসে।
ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ড, কিউআর কোড এবং ইন্টারনেট ব্যাংকিং হলো এমটিবির জন্য নগদহীন লেনদেনের প্রধান উপায়। এমটিবি ২০২১ সালে ২ দশমিক ৬ মিলিয়ন নগদবিহীন লেনদেনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে; ২০২২ এবং ২০২৩ সালে যথাক্রমে ৪ দশমিক ৭ ও ৭ দশমিক ৮ মিলিয়ন নগদবিহীন লেনদেন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।
তথ্য ও অর্থের সুরক্ষা পেতে সাইবার অপরাধ দমন আইন প্রয়োগ এবং ডিজিটাল লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করা দরকার। পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের (পিএসপি) নিয়ন্ত্রণ এবং তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। জনগণকে ডিজিটাল লেনদেন ও তথ্যের নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।