ঋণের অনিয়ম নিয়ে যা বলল ইসলামী ব্যাংক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড

প্রথম আলো পত্রিকার প্রথম পাতায় গতকাল প্রকাশিত ‘ইসলামী ব্যাংকে “ভয়ংকর নভেম্বর”’ শীর্ষক সংবাদের বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছে ব্যাংকটি। এতে ব্যাংকটি বলেছে, ‘নাবিল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান শিমুল এন্টারপ্রাইজসহ আটটি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া ইসলামী ব্যাংকের ঋণের বিষয়ে যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তা যথাযথভাবে উপস্থাপিত হয়নি।

গ্রুপটি চাল, ডাল, গম, চিনি ও ভোজ্যতেলের অন্যতম বৃহৎ সরবরাহকারী হিসেবে কাজ করছে। যার মাধ্যমে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া আনোয়ারা ট্রেড ইন্টারন্যাশনালসহ অন্যান্য যে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে, তারাও যথাযথ ব্যাংকিং নিয়ম মেনে ঋণ নিয়েছে।’

ব্যাংকটি আরও বলেছে, ‘সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর পর্যাপ্ত জোগান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ ধরনের পণ্যে ইসলামী ব্যাংক ঋণ বাড়িয়েছে। এ ছাড়া আমদানি বৃদ্ধি, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা সম্প্রসারিত হওয়ায় যথাযথ মূল্যায়ন করে পর্যাপ্ত জামানত গ্রহণ ও ব্যাংকের নিয়ম মেনেই তাদের ঋণ দেওয়া হয়েছে।’

ব্যাংকটি ব্যাখ্যায় আরও বলেছে, ‘এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ খেলাপি হয়নি। ঋণ দেওয়া অর্থ তাদের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং নির্দিষ্ট সময়েই এ বিনিয়োগের টাকা ব্যাংক ফেরত পাবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’

প্রতিবেদকের বক্তব্য: নাবিল গ্রুপ দীর্ঘদিন ব্যবসা করলেও যেসব প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ বের করা হয়েছে, সরেজমিন তার সব কটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে রয়েছে মার্টস বিজনেস লিমিটেড, ইন্টারন্যাশনাল প্রোডাক্ট প্যালেস ইত্যাদি। আবার নভেম্বর মাসে যে দ্রুতগতিতে অর্থায়ন করা হয়েছে, তারও কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। আর ঋণগুলোর গ্রেস পিরিয়ডের (ঋণ পরিশোধে বিরতি) মেয়াদ এক বছর হওয়ায় এখনই খেলাপি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রতিবেদনের তথ্যগুলো যথাযথভাবেই উপস্থাপন করা হয়েছে।