দেশের আটটি বিভাগের মধ্যে রংপুরের মানুষের মোবাইল আর্থিক সেবা বা এমএফএস হিসাব বেশি। রংপুরের ২৮ দশমিক ১০ শতাংশ মানুষের এমএফএস হিসাব আছে। এরপরই হচ্ছে বরিশালের অবস্থান। এই বিভাগের ২৪ দশমিক ২৬ শতাংশ মানুষের এমএফএস হিসাব রয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএসের) আর্থসামাজিক ও জনমিতিক জরিপ ২০২৩ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
বিবিএসের প্রতিবেদনে ১০ বছর কিংবা তার বেশি বয়সের মানুষের আর্থিক হিসাবের তথ্য তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, দেশের ৪৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ মানুষের ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, এমএফএস, বিমা, ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান, ডাকঘর, পুঁজিবাজার ও জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরে আর্থিক হিসাব রয়েছে। তবে ৫২ দশমিক ৫৭ শতাংশ মানুষের কোনো ধরনের আর্থিক হিসাব নেই।
প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, দেশের ২০ দশমিক ৮০ শতাংশ মানুষের এফএফএস হিসাব আছে। গ্রামাঞ্চলে এই হার ২১ দশমিক ৮২ শতাংশ। শহরাঞ্চলে ১৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
এমএফএস হিসাবের দিক থেকে রংপুর সবার চেয়ে এগিয়ে থাকলেও সবচেয়ে পিছিয়ে চট্টগ্রাম। এই বিভাগের ১৮ দশমিক ১১ শতাংশ মানুষের এমএফএস হিসাব আছে। কাছাকাছি অবস্থানে আছে ঢাকা। এখানকার ১৮ দশমিক ১৩ শতাংশ মানুষের এমএফএস হিসাব রয়েছে। অন্যদিকে সিলেটের মানুষের এফএফএস হিসাবের হার ১৮ দশমিক ৯২ শতাংশ। এ ছাড়া খুলনার ২০ দশমিক ৫২ শতাংশ, রাজশাহীর ২২ দশমিক ৫৭ এবং ময়মনসিংহের ২৪ দশমিক ২০ শতাংশ মানুষের এফএফএস হিসাব আছে।
দেশে বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায়সহ কয়েকটি এমএসএফ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। নিজের মুঠোফোন ব্যবহার করে বা এজেন্ট পয়েন্ট থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন করা যায়। গত এক দশকে সেবাটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল শেষে ব্যক্তি পর্যায়ে ২২ কোটি ৬০ লাখ এমএফএস হিসাব রয়েছে। তার মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ১৩ কোটি ১৭ লাখ এবং নারী ৯ কোটি ৪৩ লাখ। গত এপ্রিলে সব ধরনের এমএফএস হিসাবে ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়। তার আগের মাসে লেনদেনের পরিমাণ ১ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকা।