চাকরি ফেরতের দাবিতে আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা–কর্মচারীদের মানববন্ধন

চাকরি ফেরতে পাওয়ার দাবিতে গতকাল বুধবার আইএফআইসি ব্যাংকের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা গতকাল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছেন।

মানববন্ধনে কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিপত্র অমান্য করে কর্মকর্তাদের অন্যায় ও বেআইনিভাবে বিভিন্ন সময় জোর করে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরীক্ষায় মোট ৫২৮ জনকে চাকরিচ্যুত করার ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হয় এবং সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু ব্যাংকের তৎকালীন পরিচালক সালমান এফ রহমান ও এমডি শাহ আলম সারোয়ার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার তোয়াক্কা করেনি।

শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর গত ৮ আগস্ট এই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে ব্যাংকের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এরপর ১১ আগস্ট আরেকটি মানববন্ধন করেন তাঁরা। সেদিন ব্যাংকের এমডির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের আলোচনা হয়। বলা হয়, তখন আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ছিল না। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, পর্ষদ গঠন হওয়ার পর প্রথম বৈঠকেই আন্দোলনকারীদের চাকরিতে পুনর্বহাল করা হবে।

সেই ঘোষণার পরপর আবেদন গ্রহণের কার্যক্রম শুরু করা হয়। চাকরি পুনর্বহাল করার আবেদন ২৮৩টি, চাকরিজনিত সুবিধার জন্য ১১৫টি, মৃত ব্যক্তিদের সন্তানের চাকরির জন্য ৫টিসহ সর্বমোট ৪০৩ জনের আবেদনপত্র ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়। এই বাস্তবতায় গতকাল এই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আবারও মানববন্ধন করেন।

গতকালের মানববন্ধনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বেশ কিছু দাবিদাওয়া পেশ করেছেন এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী। সেগুলো হলো ক) শাহ আলম সরোয়ারের আমলে চাকরিচ্যুত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিতে পদোন্নতি ও সব সুযোগ–সুবিধাসহ বহাল করতে হবে এবং চাকরিরত অবস্থায় সবার শাখা কার্যালয়ের কার্যক্রম মূল্যায়ন করতে হবে; খ) যাঁদের চাকরি করার বয়স নাই, তাঁদের সম্পূর্ণ সুবিধা দিতে হবে; গ) মানবসম্পদ বিভাগের সঙ্গে সংযুক্ত অবস্থায় যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাঁদের সুবিধা ও সন্তানদের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে; ঘ) সব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করতে হবে এবং সারোয়ারের সহযোগী দোসরদের পদত্যাগ করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।