প্রবাসী আয় কেনায় ব্যাংকগুলো প্রতি ডলারের বিপরীতে ১২৩ টাকা পর্যন্ত দাম দিয়েছে। উঁচু দামে ডলার কেনার প্রতিফলন দেখা গেছে প্রবাসী আয়ে। বিদায়ী নভেম্বর মাসে বৈধ পথে ১৯৩ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা রেমিট্যান্স হিসেবে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। নভেম্বরের প্রবাসী আয় অক্টোবর মাসে আসা প্রবাসী আয়ের তুলনায় প্রায় পাঁচ কোটি ডলার কম হলেও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তা ২১ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছরের নভেম্বরে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৫৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার। তবে চলতি বছরের নভেম্বরে প্রবাসী আয় অনেকটাই বেড়ে হয়েছে ১৯৩ কোটি ডলার। গত অক্টোবরে আয় এসেছিল ১৯৭ কোটি ৭৫ লাখ ডলার।
ব্যাংকগুলো অবশ্য সম্প্রতি ডলারের দাম দুই দফায় ৭৫ পয়সা কমিয়েছে। ফলে প্রবাসী ও রপ্তানি আয় কেনায় ডলারের দাম হয়েছে ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা। আর আমদানির ক্ষেত্রে দাম ১১০ টাকা ২৫ পয়সা। তবে নির্ধারিত দামে ডলার কেনাবেচা হচ্ছে কম। আজ বৃহস্পতিবারও ব্যাংকগুলো ১২৩ টাকার বেশি দামে প্রবাসী আয় কিনেছে। নির্ধারিত দামের বাইরে ব্যাংকগুলোও এখন সরকারের মতো প্রবাসী আয়ে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে। বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শ মেনে ডলারের দাম নির্ধারণ করছে।
জানা গেছে, আজ বিদেশি রেমিট্যান্স হাউসগুলো ১২১-১২২ টাকা দামে প্রবাসী আয় সংগ্রহ করেছে। এর চেয়ে বেশি দামে তাদের কাছ থেকে ডলার কিনেছে দেশের ব্যাংকগুলো। এমন একটি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আপত্তি করছে না, তাই প্রবাসী আয় কেনায় বেশি দাম দেওয়া হচ্ছে। তবে অল্প কিছু ব্যাংককে এই সুযোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সব ব্যাংক এই সুযোগ পেলে আয় আরও বাড়ত।
ব্যাংকাররা বলছেন, প্রবাসী আয়ের প্রতি ডলারে ১২৩ টাকাও দেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত দাম পাওয়ার কারণেই প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাঠাতে আগ্রহ বোধ করছেন। তবে বেশি দামে ডলার কেনার কারণে আমদানিকারকদের এখন অনেক ক্ষেত্রে ১২৭-১২৮ টাকা দরে ডলার কিনতে হচ্ছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৩৩ কোটি ডলার। এর আগে জুলাই ও আগস্ট মাসে এই আয় এসেছিল যথাক্রমে ১৯৭ কোটি ও ১৫৯ কোটি ডলার।