যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে আগামী ২২-২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগ দিতে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ঢাকা ছাড়বেন ২১ অক্টোবর। এর আগেই তিনি রাষ্ট্রমালিকানাধীন ছয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করে যাবেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এখন এ–সংক্রান্ত প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করছে।
রাষ্ট্রমালিকানাধীন ছয় ব্যাংক সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক ব্যাংক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডে (বিডিবিএল) এমডি নেই আজ ২৬ দিন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর ছয় এমডির চুক্তি বাতিল করতে পরিচালনা পর্ষদগুলোকে চিঠি দেয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। ব্যাংকারদের মতে, একসঙ্গে ছয় ব্যাংকের এমডিকে সরিয়ে দেওয়া ব্যাংক খাতে এক নজিরবিহীন ঘটনা।
ব্যাংকগুলোতে এমডি নিয়োগের অনুরোধ জানিয়ে আজ সোমবার সচিবালয়ে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন চার চেয়ারম্যান। তাঁরা হলেন সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ, রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল হুদা ও জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান মুহ. ফজলুর রহমান।
বৈঠক শেষে একটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রথম আলোকে জানান, ব্যাংকগুলোতে দ্রুত এমডি নিয়োগের অনুরোধ করেছেন তাঁরা। অর্থ উপদেষ্টা তাঁদের বলেছেন, ২১ অক্টোবরের আগেই তিনি এ–বিষয়ক ফাইলে অনুমোদন দিয়ে যাবেন। তবে চার ব্যাংকের চেয়ারম্যানের সাক্ষাতের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা কিছু বলেননি।
আগের এমডিরা ছিলেন সোনালী ব্যাংকে আফজাল করিম, জনতা ব্যাংকে মো. আবদুল জব্বার, অগ্রণী ব্যাংকে মো. মুরশেদুল কবীর, রূপালী ব্যাংকে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, বেসিক ব্যাংকে মো. আনিসুর রহমান ও বিডিবিএলে মো. হাবিবুর রহমান গাজী।
এদিকে মো. আবদুর রহমান খান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান হয়ে চলে যাওয়ার পর গত ২০ আগস্ট থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে কোনো সচিব নেই। বর্তমানে সচিবের দায়িত্বে থাকা বিভাগটির অতিরিক্ত সচিব অমল কৃষ্ণ মণ্ডল আজ রাতে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ছয় ব্যাংকেরই এমডি নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। শিগগিরই চূড়ান্ত হবে নামগুলো।