মহীউদ্দীন খান আলমগীরের বিতর্কিত ফারমার্স ব্যাংকের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় পদ্মা ব্যাংক। তবে গ্রাহকের আস্থা ফেরেনি।
রাজনৈতিক বিবেচনায় ২০১২ সালে সাবেক ফারমার্স ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। শুরু থেকে অনিয়ম করেও ব্যাংকটি রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রশ্রয় পেয়েছে, টিকেও ছিল রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে। প্রতিষ্ঠার সময় ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর। তবে অনিয়মের কারণে ব্যাংকের গ্রাহকের আস্থা তলানিতে ঠেকলে শেষ পর্যন্ত পদ ছাড়তে হয় প্রভাবশালী উদ্যোক্তাদের। সিদ্ধান্ত হয়, ব্যাংকটিতে নতুন জীবন দেওয়া হবে।
নতুন জীবন দিতে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় পদ্মা ব্যাংক। অন্য একজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী আসেন দায়িত্বে। সরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বলা হয় পদ্মা ব্যাংকের শেয়ার কিনতে। তবে গ্রাহকের আস্থা আর ফেরেনি। সেই প্রভাবশালী ব্যবসায়ীও শেষ পর্যন্ত পদ্মা ব্যাংক ছেড়ে চলে যান।
নিয়মকানুন মেনে না চললে যা হওয়ার, পদ্মা ব্যাংকের ক্ষেত্রে তা–ই হয়েছে। ব্যাংকের মালিক কে, তা দেখে ব্যাংক টিকে থাকে না। ব্যাংক চলে গ্রাহকের আস্থার ওপর।প্রদীপ কুমার দত্ত, সাবেক উপদেষ্টা, পদ্মা ব্যাংক
আর্থিক খাতে রাজনৈতিক বিবেচনায় ও প্রভাব খাটিয়ে নেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত যে টেকসই হয় না, তার বড় একটি উদাহরণ হয়ে রয়েছে পদ্মা ব্যাংক। কারণ, ব্যাংকটিকে এমন কোনো সুবিধা নেই, যা এটিকে দেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপরও শেষ পর্যন্ত পদ্মা ব্যাংক নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেনি। ব্যাংকটির ৬২ শতাংশ ঋণই এখন খেলাপি। জমা রাখা টাকাও ফেরত পাচ্ছে না অনেক গ্রাহক।
এখন ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্তের শুরুতেই এসেছে পদ্মা ব্যাংকের নাম। বাংলাদেশ ব্যাংক পরামর্শ দিয়েছে পদ্মা ব্যাংককে বেসরকারি খাতেরই এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে। এই একীভূত করার প্রক্রিয়া হিসেবে ব্যাংক দুটির সম্পদ ও দায় মূল্যায়নে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘রহমান রহমান হক’কে নিয়োগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ কুমার দত্ত চাকরি শেষে পদ্মা ব্যাংকের উপদেষ্টা হিসেবে এক বছর কাজ করেছেন। পদ্মা ব্যাংকের বর্তমান খারাপ পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিয়মকানুন মেনে না চললে যা হওয়ার, পদ্মা ব্যাংকের ক্ষেত্রে তা–ই হয়েছে।ব্যাংকের মালিক কে, তা দেখে ব্যাংক টিকে থাকে না। ব্যাংক চলে গ্রাহকের আস্থার ওপর। ব্যাংকটি নিয়মবহির্ভূতভাবে ঋণ দিয়েছে। এসব ঋণ আদায় হচ্ছে না। ফলে মানুষের আমানতের টাকা ফেরত দিতে সমস্যায় পড়ছে ব্যাংকটি। ’
ফারমার্স ব্যাংকের নাম পাল্টে রাখা হয় পদ্মা ব্যাংক। বিদেশি বিনিয়োগ আনার শর্তে ব্যাংকটিকে নানা নীতি ছাড়ের সুবিধা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে পদ্মা ব্যাংকে প্রতিশ্রুত বিদেশি বিনিয়োগও আসেনি। ফিরে আসেনি গ্রাহকের আস্থাও।
প্রদীপ কুমার দত্ত আরও বলেন, ‘পদ্মা ব্যাংকের ৬৫ শতাংশ মালিকানা সরকারি ব্যাংকগুলোর কাছে দেওয়া হয়েছে। এরপরও কেন ব্যাংকটি টিকতে পারছে না, এটা একটা রহস্য।’
ফারমার্স ব্যাংকের শুরুই অনিয়মের মধ্য দিয়ে। কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন পাওয়ার আগেই সাইনবোর্ড বসিয়ে লোকবল নিয়োগ দেওয়া শুরু করে। ব্যাংকের চেয়ারম্যান মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সঙ্গে নিরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন মাহবুবুল হক চিশতী। ব্যাংকটি কার্যক্রম শুরুর কিছুদিনের মধ্যেই ঋণ বিতরণে অনিয়মের নানা তথ্য আলোচনায় আসতে শুরু করে। ফলে আমানতকারীরা টাকা তোলা শুরু করেন, চাপে পড়ে ব্যাংকটি। নগদ অর্থের চরম সংকটে পড়লে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়।
এ পরিস্থিতিতে ২০১৭ সালের নভেম্বরে ব্যাংক ছাড়তে বাধ্য হন মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও মাহবুবুল হক চিশতী। ব্যাংকটির এমডি এ কে এম শামীমকেও অপসারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে উঠে আসে, ঋণ গ্রাহকের টাকা জমা হয়েছিল চেয়ারম্যান ও নিরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যানের ব্যাংক হিসাবে। এখন জেলে আছেন মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী এবং তাঁর ছেলে রাশেদুল হক চিশতী। গত বছরের অক্টোবরে ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় তাঁদের ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়।
ফারমার্স ব্যাংকের নাম পাল্টে রাখা হয় পদ্মা ব্যাংক। বিদেশি বিনিয়োগ আনার শর্তে ব্যাংকটিকে নানা নীতি ছাড়ের সুবিধা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে পদ্মা ব্যাংকে প্রতিশ্রুত বিদেশি বিনিয়োগও আসেনি। ফিরে আসেনি গ্রাহকের আস্থাও।
ফারমার্স ব্যাংকের দৃশ্যপটে এরপর আসেন সাবেক ব্যাংকার ও সম্পদ ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। এরপর ব্যাংকটিকে টিকিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে সরকারের সিদ্ধান্তে মালিকানায় যুক্ত হয় সোনালী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক ও ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। ব্যাংকটির ৬৫ শতাংশ শেয়ার সরকারি এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হাতে চলে যায়। ফারমার্স ব্যাংকের নাম পাল্টে রাখা হয় পদ্মা ব্যাংক। বিদেশি বিনিয়োগ আনার শর্তে ব্যাংকটিকে নানা নীতি ছাড়ের সুবিধা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে পদ্মা ব্যাংকে প্রতিশ্রুত বিদেশি বিনিয়োগও আসেনি। ফিরে আসেনি গ্রাহকের আস্থাও।
আস্থা ও সুনাম উঠে গেলে ব্যাংকের টিকে থাকা কঠিন, এর সঙ্গে যতই প্রভাবশালী ব্যক্তি যুক্ত থাকুক না কেন। মালিকেরা মিলেমিশে অনেক ব্যাংক শেষ করছে। অব্যস্থাপনার শিকার ব্যাংকগুলোকে অন্যায্য সুবিধা দিয়ে দুর্বলতর করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এর ফলে পুরো ব্যাংক খাত সংকটজনক পযায়ে এসে পৌঁছেছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মোস্তফা কে. মুজেরী
পদ্মা ব্যাংকের আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, বিদায়ী ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকে আমানতের পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকগুলোর আমানত ২ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা। ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণই ছিল ৩ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। অর্থাৎ বিতরণ করা ঋণের প্রায় ৬২ শতাংশই ছিল খেলাপি।
ব্যাংকটির ঋণ থেকে যে আয় হচ্ছে, তা দিয়ে আমানতের সুদ পরিশোধ করা হচ্ছে না। ফলে প্রতিবছর বড় অঙ্কের লোকসান গুনছে পদ্মা। পাশাপাশি আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে না পারায় গ্রাহকের আস্থা তলানিতে পৌঁছেছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি খাত থেকে পাওয়া ২ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা আমানতকে শেয়ারে রূপান্তর করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তাতে সফল হয়নি ব্যাংকটি।
ঠিক এমন পরিস্থিতিতে জানুয়ারি মাসের শেষে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম পদ্মা ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সোনালী ব্যাংকের প্রতিনিধি হিসেবে ব্যাংকটির পরিচালক।
২০২৩ সাল শেষে পদ্মা ব্যাংকে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক ও ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) আমানত ছিল ১ হাজার কোটি টাকা এবং জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড ও জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ৭৬০ কোটি টাকা। এ ছাড়া বাকি ১ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি আমানত হচ্ছে জীবন বীমা করপোরেশন, সাধারণ বীমা করপোরেশন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, তিতাস গ্যাস, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফিন্যান্স ফান্ড লিমিটেড (বিআইএফএফএল), ইসলামিক ফাউন্ডেশন, নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের। এখন এসব প্রতিষ্ঠান জমা টাকা ফেরত পাচ্ছে না, কেউ কেউ সুদও পাচ্ছে না।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর প্রথম আলোকে বলেন, পদ্মা ব্যাংককে এভাবে বাঁচিয়ে রাখা ঠিক হয়নি; আগেই অবসায়ন করে ফেলা উচিত ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক কেন নানা অন্যায্য সুবিধা দিয়ে ব্যাংকটিকে এত দিন টিকিয়ে রাখল, এটাই বড় প্রশ্ন। ফলে অন্যরা আশকারা পেয়েছে। এখন অন্য কোনো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত না করে অবসায়ন করে ফেলা উচিত এই ব্যাংকটির। সরকারের উচিত হবে, আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া। পাশাপাশি এর সঙ্গে জড়িত পরিচালকদের শাস্তি দেওয়া ও লুট হওয়া টাকা আদায়ের ব্যবস্থা করা উচিত।
ব্যাংকটির সবচেয়ে বড় খেলাপি গ্রাহক চট্টগ্রামের এমএএস শিপ রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজ, যার কর্ণধার সারোয়ার হোসেন, মিনহাজুল হাসান ও শহিদুল হক। প্রতিষ্ঠানটির ঋণের পরিমাণ ১৪৭ কোটি টাকা। তালিকায় পরের বড় খেলাপি হলো খুলনার মিমু জুট মিল, মল্লিক অ্যাকুয়াকালচার ও মনমি অ্যাগ্রো। এই তিন প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ ১০৮ কোটি টাকা। চট্টগ্রামের নাহার ফারমার্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠান নাহার ফারমার্স, মায়া ফিড ও নাহার ফারমার্স রাইস ব্র্যান অয়েলের খেলাপি ঋণ ১০১ কোটি টাকা।
এ ছাড়া অ্যাপোলো ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন এবং অ্যাপোলো ট্রেডিংয়ের ঋণ ৯১ কোটি টাকা, অ্যাটলাস গ্রিন প্যাক লিমিটেডের ঋণ ৯১ কোটি টাকা, আলভী অ্যাগ্রো কমপ্লেক্স, প্রিয়াঙ্কা ট্রেডিং ও রোজবার্গ অটো রাইস মিলসের ঋণ ৮০ কোটি টাকা।
এর বাইরে শীতল এন্টারপ্রাইজের ঋণ ৭৮ কোটি টাকা, রংপুর জুট মিলস লিমিটেডের ঋণ ৭০ কোটি টাকা, এসবি অটো ব্রিকস ও সগীর ব্রাদার্সের ঋণ ৬৩ কোটি টাকা, অ্যাগ্রো এরিনা অ্যাসোসিয়েটসের ৬২ কোটি টাকা, জয় এন্টারপ্রাইজ ও সিলভার ট্রেডিংয়ের ঋণ ৫৮ কোটি টাকা, আল ফারুক ব্যাগস লিমিটেডের ঋণ ৫৩ কোটি টাকা, গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশনের ৫১ কোটি টাকা, শহীদ শিপ ব্রেকিংয়ের ঋণ ৪৮ কোটি টাকা, রানা অটো ব্রিকস, সেলিম অটো ব্রিকস, এ আর ইন্টারন্যাশনাল এবং এমএইচ এন্টারপ্রাইজের ঋণ ৪৮ কোটি টাকা।
এসব নিয়ে কথা বলতে গত ৩০ এপ্রিল পদ্মা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গেলে সদ্য পদত্যাগ করা ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারেক রিয়াজ খান কথা বলতে রাজি হননি।
আর্থিক খাতের বিশ্লেষকেরা মনে করেন, কোনো ব্যাংকের প্রধান সম্পদ হলো মানুষের আস্থা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মোস্তফা কে. মুজেরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আস্থা ও সুনাম উঠে গেলে ব্যাংকের টিকে থাকা কঠিন, এর সঙ্গে যতই প্রভাবশালী ব্যক্তি যুক্ত থাকুক না কেন। মালিকেরা মিলেমিশে অনেক ব্যাংক শেষ করছে। অব্যস্থাপনার শিকার ব্যাংকগুলোকে অন্যায্য সুবিধা দিয়ে দুর্বলতর করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এর ফলে পুরো ব্যাংক খাত সংকটজনক পযায়ে এসে পৌঁছেছে।’
মোস্তফা কে. মুজেরী আরও বলেন, ব্যাংকিং খাতে সুশাসন ফিরিয়ে এনে দোষীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। না হলে অন্যরাও এসব দেখে উৎসাহিত হবে। একের পর এক সংকট চলতেই থাকবে। দেশ আর এগোতে পারবে না।