টাকা
টাকা

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের সুদও বাড়ল

ব্যাংকের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের সুদ আরও বেড়েছে। ঋণের পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানের আমানতের সুদ হারও বাড়ানো হয়েছে। মার্চ মাসের জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এখন ঋণের জন্য সর্বোচ্চ ১৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ এবং আমানতে ১২ দশমিক ৩৬ শতাংশ পর্যন্ত সুদ নিতে পারবে।

ঋণের সুদ নির্ধারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন পদ্ধতি অনুসরণ করতে গিয়ে প্রতি মাসেই ঋণের সুদ বাড়ছে। তাতে বিপাকে পড়ছেন ব্যবসায়ী, শিল্পোদ্যোক্তাসহ ব্যাংকের ঋণগ্রহীতারা। কারণ, নতুন করে ঋণ নিতে গেলেই গুনতে হচ্ছে বেশি সুদ। ফলে ব্যবসার খরচও বেড়ে যাচ্ছে।

ঋণের সুদ বেশি বেড়ে যাওয়ায় সুদহার নির্ধারণ পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমানে সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল বা স্মার্ট পদ্ধতিতে ঋণের সুদের ভিত্তি হার নির্ধারিত হয়। এ ভিত্তি হারের সঙ্গে এত দিন বাড়তি ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদ যুক্ত করে আমানতের সুদ নির্ধারণ করা হয়। এখন নতুন নিয়মে, ভিত্তি সুদ হারের সঙ্গে বাড়তি যুক্ত হবে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ সুদ। অন্যদিকে ঋণের ক্ষেত্রে এত দিন ভিত্তি সুদের সঙ্গে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ বাড়তি সুদ যুক্ত হতো। এখন বাড়তি সুদ যুক্ত হবে সাড়ে ৫ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত নতুন সুদহার কার্যকর হবে শুধু নতুন ঋণ ও আমানতের ক্ষেত্রে। পুরোনো ঋণের ক্ষেত্রে সুদহার পরিবর্তিত হবে ছয় মাস পরপর।

ফেব্রুয়ারিতে স্মার্ট সুদহার বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি যুক্ত হওয়া সুদের কিছুটা লাগাম টানা হয়েছে। এদিকে চলতি মাসে ব্যাংকঋণের সুদ বেড়ে হয়েছে ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ। গত ফেব্রুয়ারিতেও ব্যাংকে ঋণের সর্বোচ্চ সুদ ছিল ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ।