দেশে মার্কিন ডলারের সংকট এখনো কাটেনি। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুত কমে আবারও দুই হাজার কোটি ডলারের নিচে নেমে গেছে। রিজার্ভ থেকে ক্রমাগত ডলার বিক্রি ও ব্যাংকগুলো তাদের জমা রাখা ডলার ফেরত নেওয়ায় রিজার্ভ কমছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে রিজার্ভ কমার তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বুধবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ১৯ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৯৮৯ কোটি ডলারে নেমেছে। একই দিনে মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৫৩০ কোটি ডলার।
এর আগে ৮ এপ্রিল বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ১০ বিলিয়ন বা ২ হাজার ১০ কোটি ডলার। ওই দিন মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৫৩৮ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত ১০ দিনে বিপিএম-৬ মান অনুযায়ী রিজার্ভ কমেছে ২ কোটি ১০ লাখ ডলার।
এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা প্রকাশ করা হয় না।
সূত্র জানায়, সেই হিসাবে দেশের ব্যবহারযোগ্য বা প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের নিচে। প্রকৃত রিজার্ভ হলো দায়হীন রিজার্ভ। প্রকৃত রিজার্ভের হিসাব কীভাবে নির্ণয় করতে হবে, তা আইএমএফ ঋণ দেওয়ার সময় বাংলাদেশকে জানিয়ে দিয়েছিল। সংস্থাটি ঋণের শর্ত হিসেবে নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রকৃত রিজার্ভ কী পরিমাণে থাকতে হবে, তা ঠিক করে দেয়। তাই বাংলাদেশকে আইএমএফের শর্ত মেনে প্রতি তিন মাস পরপর রিজার্ভ সংরক্ষণ করতে হয়।
আইএমএফ বাংলাদেশকে যে ঋণ দিয়েছে, তার শর্ত অনুযায়ী গত মার্চ মাস শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রকৃত রিজার্ভ থাকার কথা ১ হাজার ৯২৬ কোটি মার্কিন ডলার। কিন্তু ওই সময় প্রকৃত রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের কম।