বাংলাদেশি এয়ারলাইনস কোম্পানির জন্য ইজারায় আনা বিদেশি উড়োজাহাজের ভাড়া পরিশোধে এখন থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে না। একই সঙ্গে করপোরেট কোম্পানির ক্লাউড ও সংশ্লিষ্ট সেবা ব্যবহারের ফি পরিশোধেও অনুমোদন নিতে হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল বৃহস্পতিবার দুই পৃথক প্রজ্ঞাপনে বিদেশি উড়োজাহাজের ভাড়া এবং ক্লাউড ও সংশ্লিষ্ট সেবা ব্যবহারের ফি পরিশোধে অনুমতি নেওয়ার বিষয়টি শিথিল করে। এত দিন এসব ফি পরিশোধের প্রতিটি নথিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল।
অনুমোদনের বিষয় শিথিল করলেও উড়োজাহাজের ভাড়া এবং ক্লাউড ও সংশ্লিষ্ট সেবা ব্যবহারের ফি পরিশোধের আগে ব্যাংকগুলোকে কিছু নথি যাচাই করতে বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। সেগুলো হচ্ছে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনপত্র, বৈধ চুক্তির কপি, চালানের কপি এবং ভাড়া করা উড়োজাহাজ পরিচালনা-সংক্রান্ত ওপেনিং ব্যালেন্স, আয়, ব্যয় ও নিট পরিমাণ (উদ্বৃত্ত/ঘাটতি) দেখানো নিরীক্ষা প্রতিবেদন।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, প্রযোজ্য সব কর পরিশোধের চালানের প্রমাণ বা সংশ্লিষ্ট কর কর্তৃপক্ষের দেওয়া কর মওকুফের সনদ জমা দিতে হবে। সব ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের অনুমোদিত ডিলারদের এই নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আবেদনকারী কোম্পানির কাছ থেকে একটি অঙ্গীকারনামা নিতে হবে, যেখানে ভুল বা অতিরিক্ত পরিমাণ অর্থ পাঠানো হলে তা বাংলাদেশে অবিলম্বে ফেরত আনার প্রতিশ্রুতি থাকবে।