আইএফআইসি ব্যাংকের উপদেষ্টা পদ থেকে বাদ পড়েছেন ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ার। বাংলাদেশ ব্যাংক গত বুধবার তাঁর এই নিয়োগ বাতিল করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বিশেষ ক্ষমতাবলে তাঁকে ব্যাংকটির উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন। নিয়ম হলো কোনো ব্যাংকের এমডি অবসরে যাওয়ার ৫ বছর আগে একই ব্যাংকের উপদেষ্টা হতে পারবেন না। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরপরই গত ১১ মে তিনি একই ব্যাংকের উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পান।
উপদেষ্টা পদে থাকলেও ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর আর ব্যাংকে যাচ্ছেন না শাহ আলম সারওয়ার। গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার পদত্যাগ করার পর নতুন গভর্নর হিসেবে যোগ দিয়েছেন আহসান এইচ মনসুর। এরপর গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগের দেওয়া সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
আইএফআইসি ব্যাংক সূত্র জানায়, ব্যাংকটির এমডি শাহ আলম সারওয়ারের মেয়াদ শেষ হয় ১৩ মে। এরপর ২৬ মে থেকে তিনি ব্যাংকটির ‘কৌশলগত উপদেষ্টা’ হিসেবে যোগ দেন। এই তথ্য তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ারও করেছেন। তিনি আগের মতো একই কক্ষে বসেই এই দায়িত্ব পালন শুরু করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, দুই বছরের জন্য তাঁকে ‘কৌশলগত উপদেষ্টা’ নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এ জন্য প্রতি মাসে বেতন অনুমোদন করা হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২০২১ সালে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কোনো ব্যাংকের এমডি বা পরের দুই পদ পর্যন্ত কর্মকর্তারা অবসরের পাঁচ বছর পার না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে উপদেষ্টা বা পরামর্শক হতে পারবেন না।
বাংলাদেশ ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত জানুয়ারিতে ন্যাশনাল ব্যাংক তাদের অবসরে যাওয়া এমডি মেহমুদ হোসেনকে একই ব্যাংকের উপদেষ্টা পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক সেই আবেদন অনুমোদন করেনি। তবে ঠিকই শাহ আলম সারওয়ারের নিয়োগ অনুমোদন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের প্রভাবে তখন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সূত্র।
৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আটক হয়েছেন সালমান এফ রহমান। ব্যাংকটির পরিচালক থেকে বাদ পড়েছেন তাঁর ছেলে শায়ান ফজলুর রহমান।