চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১% হতে পারে

বিশ্বব্যাংক
ফাইল ছবি: রয়টার্স

চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে। এমন পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক প্রতিবেদন ‘ইকোনমিক আপডেটে’ জিডিপি প্রবৃদ্ধির এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সরকার চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করেছে সাড়ে ৭ শতাংশ।

প্রতিবেদনটি প্রকাশ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তর থেকে অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ হ্যান্স টিমার প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। আরও বক্তব্য দেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার।

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে হ্যান্স টিমার বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস অর্থনীতির পুরো চিত্র প্রকাশ করে না। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। তৈরি পোশাকের রপ্তানি কমছে। আবার তৈরি পোশাক উৎপাদনের ব্যয়ও বাড়ছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের আঘাত পড়ছে। তিনি আরও বলেন, কোভিড-পরবর্তী সময়ে অর্থনীতিতে ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। সার্বিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মতো বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি চ্যালেঞ্জিং অবস্থায় আছে।

বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার মনে করেন, এই অঞ্চলের দেশগুলোর সামনে এখন তিনটি চ্যালেঞ্জ আছে—রাজস্ব আদায়ের নিম্ন হার, সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা।

এর আগে গত মাসে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল। মূলত স্থানীয় ভোগ চাহিদা কমে যাওয়া, রপ্তানি ও প্রবাসী আয় হ্রাস এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির শ্লথগতি—এসব কারণে প্রবৃদ্ধির এমন পূর্বাভাস দিয়েছে এডিবি।