বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক

তিন মাসের ঋণ শোধে বিশেষ সুবিধা পাবেন বন্যাকবলিত এলাকার গ্রাহকেরা

দেশের বন্যাকবলিত এলাকার কৃষি ও সিএমএসএমই ঋণের কিস্তি পরিশোধে তিন মাসের জন্য বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আজ রোববার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ ছাড় দিয়েছে। এর ফলে চলতি বছরের আগস্ট থেকে অক্টোবর—এই তিন মাসের কিস্তি পরিশোধে বিশেষ সুবিধা পাবেন কৃষি ও সিএমএসএমই ঋণ গ্রহীতারা।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চিহ্নিত অন্যান্য বন্যাকবলিত এলাকার ১ জুলাইয়ের বিদ্যমান অশ্রেণিকৃত স্বল্পমেয়াদি কৃষি ও সিএমএসএমই ঋণ পরিশোধ সহজ করতে কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রদেয় ঋণের কিস্তি সংশ্লিষ্ট ঋণের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। এ ছাড়া সিএমএসএমই খাতের চলমান যেসব ঋণ উল্লিখিত তিন মাসের মধ্যে সমন্বয়যোগ্য, সেসব ঋণ সমন্বয়ের মেয়াদ তিন মাস বাড়াতে হবে। তবে কোনো গ্রাহক যদি এসব সুবিধা নিতে না চান, সে ক্ষেত্রে পূর্বনির্ধারিত পরিশোধ সূচি অনুযায়ী ঋণ ও ঋণের কিস্তি পরিশোধ ও সমন্বয় করা যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক এ–ও জানিয়েছে, উল্লিখিত তিন মাসের ঋণের কিস্তি বিলম্বে পরিশোধের ক্ষেত্রে নিয়মিত সুদ বাদে অন্য কোনো দণ্ড সুদ, অতিরিক্ত সুদ ও মুনাফা, বিলম্ব মাশুল বা জরিমানা কোনো কিছুই আদায় বা আরোপ করা যাবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, দেশের কয়েকটি জেলা বন্যার কারণে প্লাবিত হয়েছে। তাতে এসব এলাকার স্বল্পমেয়াদি কৃষি ও সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ কারণে তাঁদের পক্ষে নির্ধারিত সময়ে ঋণ বা ঋণের কিস্তি পরিশোধ বা সমন্বয় দুরূহ হয়ে পড়বে। নির্ধারিত সময়ে প্রদেয় অর্থ পরিশোধ না হলে তাতে বন্যাকবলিত অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতাদের ঋণ হিসাব বিরূপভাবে শ্রেণিকৃত বা খেলাপি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে নতুন ঋণের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়াসহ সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এ কারণে বন্যাকবলিত এলাকার স্বল্পমেয়াদি কৃষি ও সিএমএসএমই খাতের ঋণ গ্রাহকদের ঋণ ও ঋণের কিস্তি পরিশোধে তিন মাসের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে।