টাকা পাচারকারীরা যেকোনো মূল্যেই ডলার কিনবেন: সেলিম আর এফ হোসেন

সেলিম আর এফ হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ব্র্যাক ব্যাংক
সেলিম আর এফ হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ব্র্যাক ব্যাংক

রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বাড়াতে ডলারের বিনিময় হার হুন্ডির পর্যায়ে নিয়ে গেলেও লাভ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন।  

আজ সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে কয়েকটি ব্যাংকের এমডি বা ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের প্রধান সেলিম আর এফ হোসেন। তবে আজকের বৈঠকে ডলারের বিনিময় হার নিয়ে আলোচনা হয়নি বলে জানান তিনি।

সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, বৈঠকে কয়েকজন এমডি বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক উপস্থিত ছিলেন। গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে মরক্কো গিয়েছিলেন এবং সে বিষয়ে ধারণা দিতেই আজকের বৈঠক হয়েছে বলে জানান ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি।

আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল বর্তমানে বাংলাদেশ সফরে রয়েছে এবং সংস্থাটির ঋণের শর্তাবলি কতটা পূরণ হয়েছে, তা নিয়ে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে। দেশের কয়েকটি ব্যাংকের এমডিদের সঙ্গেও আইএমএফ কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে আইএমএফের সঙ্গে ব্যাংকের এমডিদের কী আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে তাঁরা গভর্নরকে অবহিত করেন।

সভা শেষে সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, ডলারের বিনিময় হার ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হলে দেখা যাবে, হুন্ডিওয়ালারা ১৪০ টাকা দেবে। বিষয়টা হলো যাঁরা বিদেশে টাকা পাচার করেন, তাঁদের কাছে বিনিময় হার কোনো বিষয় নয়, যেকোনো মূল্যে তাঁরা তা করবেন। এসব তো কালোটাকা, পাচারকারীরা যেকোনো মূল্যে ডলার কিনে টাকা পাচার করবেন।

এ ছাড়া কার্ব মার্কেটের প্রসঙ্গে সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, এই বাজারে বছরে তিন থেকে চার কোটি ডলার লেনদেন হয়। দেশের অর্থনীতির যে আকার, তার সাপেক্ষে এটি খুবই সামান্য। ফলে কার্ব মার্কেটে ডলারের বিনিময় হার কত বা তাকে মানদণ্ড হিসেবে দেখানোর প্রয়োজন নেই বলে তিনি মনে করেন।

সেলিম আর এফ হোসেন আরও বলেন, রপ্তানি আয়ের যে অংশ দেশের বাইরে থেকে যাচ্ছে, সেগুলো দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার কথা বলেছেন গভর্নর।