আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম চাপা দিতে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আসা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা বহাল তবিয়তে আছেন। এর মধ্যে সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বাসায় অবস্থান করছেন। আর নির্বাহী পরিচালক শাহ আলম নিয়মিত অফিস করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে।
ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল হক আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন, শাহ আলম অনিয়ম চাপা দিতে ঘুষ নিতেন। আর সুর চৌধুরী অনিয়ম ম্যানেজ করতেন। একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন পিপলস লিজিংয়ের চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দী।
এরপরও কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে শুধু তাঁর বিভাগ বদলি করেছে। তাঁকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেখভালের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়।
১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদান করেন শাহ আলম। আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দেখভালের দায়িত্বে থাকা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পান ২০১৩ সালের অক্টোবরে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে তিনি নির্বাহী পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বেই ছিলেন। তাঁর মেয়াদেই দেশের কমপক্ষে ১০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের দুর্নীতি হয়। বেশির ভাগ এখন টাকা ফেরত দিতে পারছে না। আর এসব দুর্নীতি মাঠে থেকে নেতৃত্ব দেন পি কে হালদার। এ সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ডেপুটি গভর্নর ছিলেন এস কে সুর চৌধুরী ও এস এম মনিরুজ্জামান। তাঁদের বিরুদ্ধেও বড় ধরনের সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, তদন্ত চলছে। দোষী প্রমাণ হলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে বদলি করা হয়েছে, তা নিয়মিত প্রক্রিয়ার অংশ।