মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতারণায় গ্রাহকের ক্ষতি গড়ে ৯,২১৯ টাকা

করোনার সময় গত বছর এমএফএস খাতে লেনদেনের প্রবৃদ্ধি ২৮ শতাংশ হয়েছে।
ছবি: প্রথম আলো

মোবাইলে আর্থিক সেবার (এমএফএস) ক্ষেত্রে নানা ধরনের প্রতারণার শিকার হন গ্রাহকেরা। বেশির ভাগ প্রতারণায় গ্রাহকের গড়ে ৯ হাজার ২১৯ টাকার লোকসান হয়। ঢাকা বিভাগেই এমন প্রতারণার ঘটনা ঘটে। অনিবন্ধিত মোবাইল সিম থেকে বেশির ভাগ প্রতারণা হয়।

আজ বুধবার বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত ‘ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সেবায় ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এক গবেষণায় এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। গবেষণার ভিত্তিতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআই গবেষক আশিকুর রহমান। ৭ হাজার ২৭৯ জন গ্রাহক ও এজেন্টের মতামত নিয়ে গবেষণাটি তৈরি করা হয়।

যাঁরা মুঠোফোন ব্যবহার করে সেবা নেন, তাঁদের সচেতন হতে হবে। তা না হলে নিয়ন্ত্রক বা অপারেটর অপরাধ দমন করতে পারবে না।
মোস্তাফা জব্বার , ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী

মূল প্রবন্ধে আরও বলা হয়, প্রতিটি প্রতারণার ক্ষেত্রে আর্থিক পরিমাণ গড়ে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা ও সর্বনিম্ন ১ হাজার টাকা। প্রতারণার প্রতিকার না পেলে অপারেটর পরিবর্তন করে ফেলেন ভুক্তভোগী। মোবাইল আর্থিক সেবা গ্রহীতার সংখ্যা বাড়ছে। তাই তদারকির জন্য একটি বিশেষ কর্তৃপক্ষ থাকা উচিত। ওই কর্তৃপক্ষ ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ করবে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, যাঁরা মুঠোফোন ব্যবহার করে সেবা নেন, তাঁদের সচেতন হতে হবে। তা না হলে নিয়ন্ত্রক বা অপারেটর অপরাধ দমন করতে পারবে না।

বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদির বলেন, এ ধরনের প্রতারণা পুরো এমএফএস খাতের সমস্যা। দায়িত্ব শুধু বিকাশের ওপর দিলে চলবে না। অন্যরা যদি বালুতে মুখ ঢেকে বলেন, ‘বিকাশ এ খাতের নেতৃত্বে আছে। বিকাশ যদি উদ্যোগ নেয়, তাহলে সবাই সুবিধা পাব।’ আসলে তা ঠিক নয়।

সোনিয়া বশির কবির বলেন, বিকাশ, নগদের মতো শুধু ফিনটেক অপারেটরকে দায়ী করে লাভ নেই। কারণ, এ ধরনের লেনদেনের পেছনে ব্যাংকের মতো শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানও আছে। ব্যাংকই হলো ‘পেমেন্ট সেটেলমেন্ট প্লেয়ার’।

পিআরআই নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, করোনার সময় গত বছর এ খাতে লেনদেনর প্রবৃদ্ধি ২৮ শতাংশ হয়েছে। এটি ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।