ভারতের প্রায় সব ব্যাংকই জড়িত

ভারতে সরকারি, বেসরকারি ও বহুজাতিক–নির্বিশেষে প্রায় সব কটি ব্যাংকই সন্দেহজনক লেনদেনে জড়িত।
ভারতে সরকারি, বেসরকারি ও বহুজাতিক–নির্বিশেষে প্রায় সব কটি ব্যাংকই সন্দেহজনক লেনদেনে জড়িত।

ভারতে সরকারি, বেসরকারি ও বহুজাতিক–নির্বিশেষে প্রায় সব কটি ব্যাংকই সন্দেহজনক লেনদেনে জড়িত। তাদের মাধ্যমে ২০১০ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে মোট ৪০৬টি অবৈধ লেনদেন সংঘটিত হয়েছে। এতে আদান–প্রদান হয়েছে ৪৮ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশের প্রায় ৪ হাজার ১০০ কোটি টাকার মতো।

এসব লেনদেনকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগের ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইমস এনফোর্সমেন্ট নেটওয়ার্ক (ফিন–সেন) ‘রেড–ফ্ল্যাগড’ বা ‘বিপজ্জনক লেনদেন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তারা লেনদেনগুলোকে অবৈধ উপায়ে পাচার, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অর্থায়ন, মাদক বেচাকেনার অর্থ এবং আর্থিক প্রতারণা বা জালিয়াতি বলে সন্দেহ করছে।

ফিন–সেনের এসব তথ্য ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম (আইসিআইজে) প্রকাশ করেছে। আইসিআইজে বিশ্বব্যাপী ২ ট্রিলিয়ন বা ২ লাখ কোটি ডলারের অবৈধ লেনদেনের তথ্য প্রকাশ করে।

আইসিআইজের প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, ভারতে ব্যবসারত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪০৬টি লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে বিদেশ থেকে ভারতে এসেছে ৪৮ কোটি ২১ লাখ ৮১ হাজার ২২৬ কোটি ডলার। আর ভারত থেকে বিদেশে গেছে ৪০ কোটি ৬২ লাখ ৭৮ হাজার ৯৬২ ডলার।

আইসিআইজের প্রতিবেদন অনুযায়ী ভারতে যেসব ব্যাংক জড়িত সেগুলো হচ্ছে—স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, এইচডিএফসি ব্যাংক, ইন্দুসিন্দ ব্যাংক, অ্যাক্সিস ব্যাংক, আইসিআইসিআই ব্যাংক, কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাংক, ইয়েস ব্যাংক, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাংক, কানাড়া ব্যাংক, ব্যাংক অব মহারাষ্ট্র, কারুর বিশ্বব্যাংক, তামিলন্যাড মার্কেন্টাইল ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, ব্যাংক অব বরোদা, ডিবিএস ব্যাংক, ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, এলাহাবাদ ব্যাংক, ইন্ডিয়ান ব্যাংক, দয়েশে ব্যাংক, ইউসিও ব্যাংক, কর্ণাটক ব্যাংক, আরবিএস, অন্ধ্র ব্যাংক ও বিজয়া ব্যাংক।

  • স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মাধ্যমে একটি সিঙ্গেল বা একক লেনদেনে মেরিল লিঞ্চ সুইসিতে স্থানান্তর হয়েছে ৮১ লাখ ৭৩ হাজার ডলার।

  • ডিবিএস ব্যাংক থেকে ২০১৫–১৬ সালে মাত্র চার মাসে ১৯ বারে ব্যাংক অব ইন্ডিয়ায় এসেছে ১১ কোটি ৯৫ লাখ ৪৮ হাজার ডলার।

  • ডিবিএস থেকে এলাহাবাদ ব্যাংকে চার মাসে ২৬ বারে ১৪ কোটি ৪২ লাখ ৪৯ হাজার ডলার এসেছে।

সূত্র: আইসিআইজে ও বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড