প্রান্তিক পর্যায়ের ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে ঋণ বিতরণে সাড়া দিচ্ছে না সরকারি ব্যাংকগুলো। এ কারণে সরকারি ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে আগ্রহী ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাও (এমএফআই) ঋণ পাচ্ছে না। তবে এ ক্ষেত্রে বেসরকারি ব্যাংকগুলো এগিয়ে আসছে। ফলে সারা দেশের ৫৭ হাজার ৯৭৭ জন উদ্যোক্তা ৯ শতাংশ সুদে এমএফআই থেকে ঋণ পেয়েছেন। এ জন্য বেসরকারি ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ পেয়েছে ৫৭টি এমএফআই। অবশ্য ঋণ পেতে আগ্রহ দেখিয়েছে ১৮০টি এমএফআই।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙা করতে ৩ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করে। এই তহবিল থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১ শতাংশ সুদে ব্যাংকগুলোকে ঋণ দেয়, আর ব্যাংকগুলো ৩ শতাংশ সুদে ঋণদেয় এমএফআইগুলোকে।
এমন পরিস্থিতিতে এমএফআইগুলোর ঋণের সীমা বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে এমএফআইগুলো ব্যাংক থেকে আগের চেয়ে বেশি ঋণ নিতে পারবে।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙা করতে ৩ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করে। এই তহবিল থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১ শতাংশ সুদে ব্যাংকগুলোকে ঋণ দেয়, আর ব্যাংকগুলো ৩ শতাংশ সুদে ঋণ
দেয় এমএফআইগুলোকে। আবার তাদের কাছ থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ঋণ পায় ৯ শতাংশ সুদে। আগে এমএফআইগুলোর ঋণের সুদহার ছিল সর্বোচ্চ ২৪ শতাংশ।
আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছিল, একটি এমএফআইকে তিন বছরের বিতরণকৃত গড় ঋণের ৩০ শতাংশ অথবা পুনঃ অর্থায়ন তহবিলের ২ শতাংশের মধ্যে যা কম হয়, সেই পরিমাণ ঋণ দিতে পারবে কোনো ব্যাংক। আর গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, পুনঃ অর্থায়ন তহবিলের ৫ শতাংশের মধ্যে যা কম হয়, সেই পরিমাণ ঋণ দিতে পারবে। এখন পর্যন্ত ১৮০টি এমএফআই ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে।
জানা গেছে, এই প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে কোনো ঋণ দেয়নি রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালী, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল), বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক।
তবে ঋণে এগিয়ে রয়েছে বেসরকারি ব্যাংকগুলো—ব্র্যাক ব্যাংক ১২০ কোটি টাকা, দি সিটি ব্যাংক ১২০ কোটি ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক ৮৮ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে এমএফআইগুলোকে। ৬০ কোটি টাকা করে ঋণ দিয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। সব মিলিয়ে ১৬টি ব্যাংক ৫৫৪ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে।
জানতে চাইলে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শামস উল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা খুঁজে ভালো এমএফআই পেয়েছি। এখন নথিপত্র পর্যালোচনা করা হচ্ছে। শিগগিরই ঋণ বিতরণ করা হবে।’