বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের (বিএইচবিএফসি) ঋণ দেওয়ার সক্ষমতা বাড়াতে সংস্থাটির মূলধন বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, বিএইচবিএফসির অনুমোদিত মূলধন এক হাজার কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা করা হবে। বর্তমানে অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন উভয়ই ১১০ কোটি টাকা।
আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে সংস্থাটির ঋণের কিস্তি অনলাইনে জমা দেওয়ার ব্যবস্থার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত থেকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমন ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী ও বিএইচবিএফসির চেয়ারম্যান মো. সেলিম উদ্দিন। বিএইচবিএফসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আফজাল করিম এতে সভাপতিত্ব করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, গৃহঋণের চাহিদা বাড়ছে। চাহিদা ও জোগানের সমন্বয়ে যাতে অসুবিধা না হয়, সে জন্যই মূলধন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিএইচবিএফসির ঋণের কিস্তি অনলাইনে জমা দেওয়ার ব্যবস্থার প্রবর্তন নিঃসন্দেহে মহতী উদ্যোগ। এতে গ্রাহকসেবা সহজ ও দ্রুততর হবে।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বস্তরের মানুষের উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। স্বাধীনতার পরপরই যুদ্ধবিধ্বস্ত গৃহহারা মানুষের জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে তিনি গুচ্ছগ্রাম পরিকল্পনা হাতে নেন। তিনি গৃহনির্মাণে সরকারি পর্যায়ে ঋণসহায়তা দিতে বিএইচবিএফসি পুনর্গঠন করেন। এ ছাড়া উন্নয়ন পরিকল্পনায় বাসস্থানের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনককে অনুসরণ করেই এ খাতের সব উন্নয়ন পরিকল্পনা ও কর্মযজ্ঞ গ্রহণ করেছেন বলে উল্লেখ করেন মুস্তফা কামাল। বলেন, বস্তিবাসীদের জন্য স্বল্পমূল্যে ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প থেকে শুরু করে সরকারি কর্মচারীদের জন্য গৃহঋণ, গৃহহীন মানুষের জন্য আশ্রয়ণসহ সব স্তরের মানুষের জন্য গৃহঋণের সংস্থান করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, ‘মুজিব বর্ষে আমাদের লক্ষ্য, একজন মানুষও ঠিকানাবিহীন থাকবে না, গৃহহারা থাকবে না।’
ঋণের কিস্তি অনলাইনে জমা দেওয়ার ব্যবস্থার উদ্বোধনের ফলে প্রতিষ্ঠানটির ঋণের কিস্তিসহ সব রকম বিক্রয়যোগ্য ফরমের মূল্য ও সরকার নির্ধারিত মাশুলের অর্থ এখন যেকোনো স্থান থেকে তাৎক্ষণিকভাবে পরিশোধ করা যাবে।
এ ছাড়া সোনালী ব্যাংকের সোনালী ই-সেবা পেমেন্ট গেটওয়ে থেকে গ্রাহকের নিজ হিসাবে টাকা স্থানান্তর, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড অথবা মোবাইল ওয়ালেটের মাধ্যমে ঋণের কিস্তি জমা দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। জমা হওয়ার পর অর্থের তথ্য ও বিদ্যমান ঋণ স্থিতির তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে খুদে বার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে পেয়ে যাবেন গ্রাহকেরা।