ইউনিয়ন ব্যাংকের ভল্টের ১৯ কোটি টাকার হিসাব না মেলার ঘটনায় ব্যাংকটির গুলশান শাখার সংশ্লিষ্ট তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়ন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান ইকবাল এ কথা জানান।
হাসান ইকবাল বলেন, ব্যাংকিং লেনদেন সময়ের পর এক ভিআইপি গ্রাহককে ওই টাকা দেওয়া হয়েছিল। ব্যাংকিং নিয়ম–নীতি লঙ্ঘন হলেও এমন ঘটনা নতুন নয়। গ্রাহক-ব্যাংক সম্পর্কের ভিত্তিতে এমন লেনদেন হয়।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ইউনিয়ন ব্যাংকের গুলশান শাখার তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দলের উপস্থিতিতেই ১৯ কোটি টাকার হিসাব সমন্বয় করা হয়।
এদিকে এ ঘটনায় গতকাল ব্যাংকটির কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গত সোমবার ইসলামি ধারায় পরিচালিত বেসরকারি খাতের ইউনিয়ন ব্যাংকের গুলশান শাখায় পরিদর্শনে গিয়ে ব্যাংকটির ভল্টের হিসাবে গরমিল দেখতে পান বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা। কাগজপত্রে ওই শাখার ভল্টে যে পরিমাণ টাকা থাকার তথ্য রয়েছে, বাস্তবে তার চেয়ে প্রায় ১৯ কোটি টাকা কম পাওয়া যায়। শাখাটির নথিপত্রে দেখানো হয়েছে, ভল্টে ৩১ কোটি টাকা রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে গুনে পেয়েছেন ১২ কোটি টাকা। বাকি ১৯ কোটি টাকার ঘাটতি সম্পর্কে শাখাটির কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাওয়া হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শক দলকে যথাযথ কোনো জবাব দিতে পারেননি তাঁরা।