বন্ড ছেড়ে ৯০০ কোটি টাকা তুলবে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এবি ব্যাংক ও এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক। মূলধন বাড়াতে ব্যাংক দুটি এ অর্থ সংগ্রহ করবে। গতকাল মঙ্গলবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ব্যাংক দুটি বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। সভা শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিএসইসি জানিয়েছে, এবি ব্যাংক স্থানান্তর ও শর্ত সাপেক্ষে রূপান্তরযোগ্য পারপিচুয়াল বন্ড ছেড়ে ৬০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এর মধ্যে ৫৪০ কোটি টাকা প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ও ৬০ কোটি টাকা গণপ্রস্তাব বা পাবলিক অফারের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। বন্ডটির প্রতিটি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ঠিক করা হয়েছে এক হাজার টাকা। বন্ডটির কুপন হার ৬ থেকে ১০ শতাংশ, যা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচুয়াল ফান্ড, ইনস্যুরেন্স কোম্পানি, তালিকাভুক্ত ব্যাংক, স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ ব্যক্তিশ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিপরীতে ইস্যু করা হবে। ব্যাংকটি জানিয়েছে, বন্ডের মাধ্যমে সংগ্রহ করা টাকায় তারা মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করবে।
বিএসইসির বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, নতুন প্রজন্মের এনআরবিসি ব্যাংক ৭ বছর মেয়াদি ৩০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করবে। মেয়াদ শেষে বন্ডটি পুরোপুরি অবসায়িত হবে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রাইভেট প্লেসমেন্টে এ বন্ডের ইউনিট বিক্রি করা হবে। বন্ডের মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থে ব্যাংকটি মূলধন চাহিদা পূরণ করবে। এ বন্ডের প্রতিটি ইউনিটের অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে এক কোটি টাকা। এ বন্ড অলটারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।
এ ছাড়া গতকালের কমিশন সভায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিংয়ের ৯ বছরের আর্থিক বিবরণী ও অন্যান্য কার্যক্রমের ওপর বিশেষ নিরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশে নবগঠিত পিপলস লিজিংয়ের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। বিএসইসি জানিয়েছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির ২০১৩ থেকে ২০২১ সালের আর্থিক বিবরণী ও অন্যান্য কার্যক্রমের ওপর বিশেষ নিরীক্ষা করানো হবে।