২০০৮ সালে বিশ্বজুড়ে বড় মাত্রার যে আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছিল, সেটি সম্ভবত অর্থনীতির জগতের কেউই এখনো ভুলতে পারেননি। চৌদ্দ বছর পর একটি মহামারি–উত্তর পৃথিবীতে সবাই যখন জীবনযাত্রার সংকট মোকাবিলা করার চেষ্টা চালাচ্ছেন, তখন অনেকটা হঠাৎ করেই পতন ঘটল একটি বড় মার্কিন ব্যাংকের।
সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের (এসভিবি) ধসের ঘটনা ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের পর এ ধরনের সবচেয়ে বড় ঘটনা। আর এটি পৃথিবীর সব দেশের আর্থিক খাতকে বিপদ সংকেত পাঠিয়েছে। ফলে দেশে দেশে নিয়ন্ত্রকেরা নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছেন।
এসভিবির ধসের কারণে এই উদ্বেগ জোরদার হয়েছে যে সুদের হার বাড়ার কারণে বিশ্বের অর্থনীতির দুর্বলতাগুলো বেরিয়ে পড়ছে, কারণ, সস্তায় ঋণ পাওয়ার দিন ফুরিয়ে আসছে।
আমেরিকা, ইউরোপ কিংবা এশিয়া—সব মহাদেশেই সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের পতনের প্রভাব পড়েছে। এটি মূলত ব্যবসা শুরু করছে এমন সব স্টার্টআপকে ঋণ দিত।
যেসব কোম্পানি এসভিবির ধসে ক্ষতিগ্রস্থ কিংবা প্রভাবিত হয়েছে, বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের একটি তালিকা তৈরি করেছে। দেখা যাক কারা ওই ব্যাংকের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে সংশ্লিষ্ট ছিল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কোম্পানি জানিয়েছে যে তাদের ৪০০ কোটি ডলার আমানত ছিল সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকে। এ ছাড়া, ওই ব্যাংকে তাদের অনেকের ঋণও ছিল।
রবলক্স
এটি অনলাইন গেম কোম্পানি। তারা জানিয়েছে যে তাদের ৩০০ কোটি ডলারের নগদ অর্থ ও মালিকানাধীন শেয়ারের ৫ শতাংশ এসভিবিতে সংরক্ষিত ছিল। অর্থমূল্যে এর পরিমাণ প্রায় ১৫ কোটি ডলার।
রকু
স্ট্রিমিংয়ের জন্য যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী এই কোম্পানি বলেছে, তাদের নগদ অর্থ এবং এর সমতুল্য সম্পদের ২৬ শতাংশ এসভিবিতে আমানত হিসেবে আছে। অর্থমূল্যে এর পরিমাণ ৪৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
বাজফিড
এটি ডিজিটাল গণমাধ্যম কোম্পানি। ২০২২ সালের শেষে ব্যাংকটিতে তাদের যে অর্থ এবং অন্যান্য সম্পদ রক্ষিত ছিল, তার মূল্য ছিল ৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
অ্যাকুইটিয়াডস হোল্ডিংস
কানাডা–ভিত্তিক এই প্রযুক্তি কোম্পানি জানিয়েছে, তারা সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকে তাদের যুক্তরাষ্ট্রসংক্রান্ত কার্যক্রমের হিসাব পরিচালনা করত। তাদের আমানত ছিল ৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
অ্যাপলোভিন করপোরেশন
এই কোম্পানি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করে। তাদের মোট অর্থ এবং সমতুল্য সম্পদের পরিমাণ ১০০ কোটি ডলার। তবে ১০ মার্চ তারিখে তাদের মাত্র ২০ লাখ ডলার ছিল এই ব্যাংকে। তারা আরও জানিয়েছে যে তাদের এসভিবি থেকে নেওয়া কোনো ঋণ নেই।
অ্যাস্ট্রা স্পেস ইঙ্ক
এই কোম্পানি রকেট তৈরি করে। সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকে তাদের আমানত ছিল। ১০ মার্চ তারিখে তাদের নগদ অর্থ, অর্থ সমতুল্য সম্পদ এবং বাজারে বিক্রি করার মতো শেয়ারের প্রায় ১৫ শতাংশ জমা ছিল ব্যাংকটিতে।
কোহু ইঙ্ক
তাদের তৈরি পণ্য হলো সেমিকন্ডাকটর বা চিপ। সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকে তাদের হিসাবে সব মিলিয়ে ১ কোটি ২৩ লাখ ডলার ছিল। এই অর্থ তাদের মোট অর্থসম্পদ এবং বিনিয়োগের ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।
রকেট ল্যাব ইউএসএ ইঙ্ক
এই কোম্পানিও রকেট তৈরি করে। ৩১ ডিসেম্বরের শেষে তাদের জমা ছিল ৩ কোটি ৮০ লক্ষ ডলার। এটি তাদের নগদ অর্থ ও সমতুল্য সম্পদের ৭ দশমিক ৯ শতাংশ।
ল্যানট্রনিক্স ইঙ্ক
নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম তৈরির এই প্রতিষ্ঠানের আমানত ছিল ৬৭ লাখ ডলার। মার্চের ১০ তারিখে তাদের যত আমানত ছিল, ওই পরিমাণ তার ৮৫ শতাংশ। ল্যানট্রনিক্স বলেছে, তারা যদি সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক থেকে অর্থ তুলতে না পারে, সে ক্ষেত্রে বিকল্প পথ কী হবে, তার সন্ধান করা হচ্ছে।
আলকামি টেকনোলজি ইঙ্ক
এসভিবিতে আমানত রেখেছিল ডিজিটাল ব্যাংকিং সলিউশন সরবরাহকারী এই প্রতিষ্ঠান। হিসাবে তাদের স্থিতি ছিল ৩৩ লাখ ডলার। এ ছাড়া তাদের ৮৩ লাখ ডলারের বিশেষ বরাদ্দ ছিল, যাতে প্রয়োজনমতো বাইরের সম্পদ কেনা যায়।
স্টিচ ফিক্স
অনলাইনে স্টাইলপণ্যের সেবা দিয়ে থাকে এই কোম্পানি। তাদের ধারণা, এসভিবি পতনের কারণে তারা চার কোটি ডলারের একটি ঋণ আর ব্যবহার করতে পারবে না। এসভিবি, জেপিমরগান চেজ ও সিটিব্যাংক—এই তিনটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের ১০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়ার কথা ছিল। ওই চার কোটি ডলার ছিল তার অংশ।
সার্কেল
মার্কিন ক্রিপ্টোকারেন্সি কোম্পানি এটি। তাদের কাছে থাকা ডিজিটাল মুদ্রা ইউএসডি কয়েন এক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি। সব মিলিয়ে তাদের হাতে রয়েছে চার হাজার কোটি ইউএসডি কয়েন। এর মধ্যে ৩৩০ কোটি ইউএসডি কয়েন জমা ছিল সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকে।
ব্লকফি
দেউলিয়া হয়ে যাওয়া ক্রিপ্টো ঋণদানকারী ব্লকফি ইঙ্ক সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকে ২২ কোটি ৭০ লাখ ডলার রেখেছিল। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, এই অর্থের বিমা করা ছিল না।
পায়োনির গ্লোবাল ইঙ্ক
বিশ্বজুড়ে লেনদেন পরিচালনা করে এই কোম্পানি। তারা জানিয়েছে, ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ পর্যন্ত তাদের ৬৪০ কোটি ডলারের নগদ স্থিতি ছিল। এর মধ্যে দুই কোটি ডলারের কম জমা ছিল সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকে।
লেন্ডিংক্লাব করপ
এটি একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ফেব্রুয়ারির শেষে তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৮০০ কোটি ডলার। তারা বলেছে, তাদের ২ কোটি ১০ লাখ ডলার জমা রয়েছে সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকে। তবে এটি তাদের ব্যবসা চালানোর ক্ষেত্রে কোনো হুমকি তৈরি করছে না বলে তারা মনে করে।
ভির বায়োটেকনোলিজ
জৈব প্রযুক্তির এই কোম্পানি বলেছে, কার্যক্রম চালানোর জন্য সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকে একটি হিসাব তারা পরিচালনা করত। শুক্রবারে ওই হিসাবে তাদের ২২ কোটি ডলার ছিল।
সানরান
বাড়িতে সৌর বিদ্যুতের সরঞ্জাম বসানোর কাজ করে এই কোম্পানি। সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকে তাদের নগদ জমা ছিল আট কোটি ডলার।
ওক স্ট্রিট হেলথ ইঙ্ক
এটি স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার কোম্পানি। হারকিউলিস ক্যাপিটালের সঙ্গে মিলে এসভিবি তাদের ৩০ কোটি ডলারের একটি মেয়াদি ঋণ দিয়েছে। এই ঋণের মধ্যে কোম্পানিটি এখন পর্যন্ত ৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার উত্তোলন করেছে।
আলফাটেক হোল্ডিংস ইঙ্ক
মেডিকেল প্রযুক্তির ব্যবসা এই কোম্পানির। তাদের প্রতিদিনের কার্যক্রম চালাতে তারা সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকে যে হিসাব পরিচালনা করত, তাতে ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার ছিল।
সাইমাবে থেরাপিউটিক্যালস
লিভারের রোগের জন্য বিশেষ সেবা দেয় এই কোম্পানি। এসভিবি ছিল তাদের বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং বিনিয়োগ পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপক। মার্চের ১৩ তারিখে ব্যাংকটিতে তাদের ৬৩ লাখ ডলার আমানত ছিল বলে জানিয়েছে তারা।
এই মহাদেশের ১৬টির মতো প্রযুক্তি এবং জীববিজ্ঞানবিষয়ক কোম্পানি তথ্য প্রকাশ করেছে যে এসভিবির পতনের কারণে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে তাদের ১৯ কোটি ডলারের সম্পদ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
ট্রাস্টপাইলট গ্রুপ পিএলসি
ডেনমার্কের কোম্পানি এটি। এসভিবি ইউকে ছিল এদের মূল ব্যাংকিং অংশীদার। ব্যাংকটিতে তাদের ৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার আমানত রয়েছে। এ ছাড়া ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার তারা ব্যাংক থেকে তোলার জন্য চেষ্টা করছে। তবে এ ব্যাপারে ব্যাংক থেকে কোনো নিশ্চয়তা এখনো পাওয়া যায়নি।
ডায়াসিউটিকস
একটি প্রযুক্তি কোম্পানি যারা ওষুধশিল্পে সেবা দেয়। তারা এরই মধ্যে সতর্ক করেছে এই বলে যে স্বল্প মেয়াদে সেবা দিতে সমর্থ হবে কি না, সেই নিশ্চয়তা তারা দিতে পারছে না। এসভিবিতে তাদের হিসাবে ২ কোটি ২২ লাখ পাউন্ড ছিল, যে অর্থ তারা ব্যাংকটি বন্ধ হওয়ার আগেই সরিয়ে নিতে চেষ্টা করছিল। তবে এই লেনদেন এখনো সম্পন্ন হয়নি।
ডিয়ানমি
ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের সেবাদানকারী এই প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, বিভিন্ন মুদ্রায় তাদের ৩৮ লাখ পাউন্ড জমা আছে এসভিবি এবং এসভিবি ইউকেতে। এই অর্থ কীভাবে উদ্ধার করা যায়, তা নিয়ে তারা সক্রিয়ভাবে কাজ করছে বলে কোম্পানিটি জানিয়েছে।
গ্লেনটাস হোল্ডিংস
আয়ারল্যান্ড–ভিত্তিক কোম্পানিটি জানিয়েছে যে তারা তাদের যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রম চালাতে এসভিবির সেবা ব্যবহার করত। সেখানে তাদের অর্থের পরিমাণ আড়াই লাখ ডলারের সামান্য বেশি হতে পারে।
জিল্যান্ড ফার্মা
ডেনমার্কের ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানির ১৬ কোটি ২৬ লাখ ডেনিশ ক্রাউন এসভিবিতে জমা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির যত নগদ অর্থ রয়েছে, এটি তার প্রায় ১৫ শতাংশ।
ফার্মিং গ্রুপ এনভি
জৈব ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানিটি জানিয়েছে যে এসভিবির যুক্তরাষ্ট্র শাখায় তাদের ২ কোটি ৬০ লাখ ডলার জমা আছে। তারা আশা করছে, এই খাতে তাদের কোনো ক্ষতি হবে না।
কিনেভিক এবি
সুইডেন–ভিত্তিক বিনিয়োগ কোম্পানি এটি। এসভিবিতে তাদের আমানত দুই কোটি ডলারের কম হবে বলে তারা মনে করছে।
আরডব্লিউএস হোল্ডিংস পিএলসি
বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদসংক্রান্ত সেবা দেয় এই কোম্পানি। তারা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকে তাদের সামান্য পরিমাণ অর্থ জমা আছে। তারা আশা করছে, মার্কিন নিয়ন্ত্রকদের মাধ্যমে এই অর্থ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকবে।
অকশন টেকনোলজি গ্রুপ
যুক্তরাজ্য–ভিত্তিক এই প্রযুক্তি কোম্পানি বলেছে, ছয়টি ব্যাংকের সঙ্গে তাদের সিন্ডিকেট ঋণের ব্যবস্থা রয়েছে। এদের একটি এসভিবি এবং এ ক্ষেত্রে তাদের দায় ছয় ভাগের এক ভাগ।
পিসিআই–প্যাল
ব্রিটেন–ভিত্তিক এই কোম্পানির হিসাবে ৩২ লাখ ডলার রয়েছে, যা যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র এই দুই দেশে ভাগ করে রাখা হয়েছে।
ইওরজিন হেলথকেয়ার পিএলসি
এসভিবি ইউকে থেকে তারা মেয়াদি ঋণ নিয়েছে। তারা বিশ্বাস করে, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বিমার মাধ্যমে তাদের এসভিবি আমানত সুরক্ষিত রয়েছে।
উইন্ডওয়ার্ড লিমিটেড
ব্রিটিশ প্রযুক্তি কোম্পানিটি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশন এবং ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস কমপেনসেশন স্কিম যে পরিমাণ আমানতের বিষয়ে সুরক্ষা দেওয়ার কথা জানিয়েছে, তার চেয়ে তাদের আমানত সামান্য বেশি।
টেকনোপ্রোব স্পা
চিপ এবং মাইক্রোইলেকট্রনিকস তৈরি করে এই ইতালীয় কোম্পানি। তারা জানিয়েছে, তাদের নগদ অর্থ ও নগদ সমতুল্য সম্পদের ২ দশমিক ৫ শতাংশ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। একটি ব্রোকার প্রতিষ্ঠান ধারণা করছে যে এর পরিমাণ এক কোটি ইউরো হতে পারে।
অ্যালেকটা
সুইডেন–ভিত্তিক পেনশন তহবিল এটি। ২০১৯ সাল থেকে তারা এসভিবির শেয়ারহোল্ডার। অ্যালেকটা মোট ১ লাখ ২০ হাজার কোটি সুইডিশ ক্রোনা বা ১১ হাজার ১৯৪ কোটি ডলারের সম্পদ ব্যবস্থাপনা করে। এসভিবিতে তাদের মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৯০০ কোটি ক্রোনা।
অ্যালেকটা বলছে, যেসব মানুষ ব্যক্তিগতভাবে পেনশনের অর্থ সঞ্চয় করছেন, তাঁদের ওপর প্রভাব হবে খুবই সামান্য। রেফিনিটিভ জানাচ্ছে, গত ডিসেম্বরে এসভিবির ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ শেয়ার নিয়ে অ্যালেকটা ছিল মার্কিন ব্যাংকটির চতুর্থ বৃহত্তম মালিক।
অ্যালেকটা ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছিল আরেক মার্কিন আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিগনেচার ব্যাংকে। এসভিবির ধসের দুই দিন পর এই ব্যাংকও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
নিট্রো সফটওয়ার
অস্ট্রেলিয়ার এই কোম্পানি জানিয়েছে, তাদের প্রায় ১ কোটি ২২ লাখ ডলার এসভিবিতে আমানত হিসেবে রাখা আছে। পোটেনশিয়া ক্যাপিটাল নামের একটি কোম্পানি নিট্রোকে অধিগ্রহণ করার একটি প্রক্রিয়া এখন চালাচ্ছে। তবে এই প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে জানিয়েছে নিট্রো।
সেজেল ইঙ্ক
অস্ট্রেলিয়ার আরেকটি কোম্পানি সেজেল। কিস্তিতে পণ্য বিক্রয়কারী এই প্রতিষ্ঠান বলছে, তাদের ১২ লাখ ডলারের মতো নগদ অর্থ এবং এর সমতুল্য সম্পদ এসভিবিতে রয়েছে।
লাইফ৩৬০ ইঙ্ক
আরেকটি অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানি। তাদের সম্ভাব্য ঝুঁকির পরিমাণ ৫৬ লাখ ডলার। কিন্তু তা তাদের কার্যক্রমে কোনো সমস্যা তৈরি করবে না বলে জানিয়েছে।
কুয়েত ফিন্যান্স হাউস
কুয়েতের এই ব্যাংক জানিয়েছে যে তাদের ১২ লাখ ডলারের সম্পদের লেনদেন রয়েছে এসভিবির সঙ্গে। তবে এ ক্ষেত্রে তাদের ওপর আর্থিক কোনো প্রভাব পড়বে না বলে তারা মনে করে।