দেশে এসির বাজার বড় হচ্ছে। বছর বছর তাপমাত্রা যেমন বাড়ছে তাতে এসি আর নিছক বিলাস দ্রব্য নয়; অনেক ক্ষেত্রেই তা প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। এই বাস্তবতায় আজ প্রথম আলো দেশের এসির বাজার নিয়ে বিশেষ আয়োজন করেছে। এই আয়োজনে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মো. নুরুল আফসার।
এবার গরম বেশি পড়েছে। শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের (এসি) বিক্রি কেমন চলছে?
নুরুল আফসার: বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ায় আমাদের দেশের তাপমাত্রা প্রতিবছর বাড়ছে। গরমের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় এসির চাহিদা বাড়ছে। গত বছরের তুলনায় এসি বিক্রি তুলনামূলক ভালো চলছে।
গ্রীষ্ম মৌসুম ছাড়া বছরের অন্য সময় এসির বিক্রি কেমন হয়?
নুরুল আফসার: ইলেকট্রনিকস পণ্য বিক্রির জন্য সবচেয়ে ভালো সময় দেশের বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানের আগে, যেমন গ্রীষ্মের শুরুতে, রোজা, ঈদ, পূজা-পার্বণ ঘিরে এসব পণ্যের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। এ ছাড়া মার্চ-এপ্রিল সময়টায় এসির চাহিদা বৃদ্ধি পায়।
এসির ক্রেতা মূলত কারা?
নুরুল আফসার: শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রকে একসময় উচ্চবিত্তের পণ্য মনে করা হতো। এখন এটি সব ধরনের ক্রেতার কাছে প্রয়োজনীয়। এরই ফলে দিন দিন এসির বাজার বড় হচ্ছে এবং চাহিদাও তুলনামূলক প্রতিবছর ২০ থেকে ২৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। বর্তমানে সব শ্রেণির গ্রাহকই এসি কিনছেন।
জেলা শহরে কেমন বিক্রি হয়?
নুরুল আফসার: দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শতভাগ বিদ্যুতায়িত হওয়ায় এবং যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতির ফলে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে ইলেকট্রনিকস পণ্যের বাজারটা অনেক বেশি বিকশিত হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের বাইরে অন্য শহরগুলোতেও বিক্রি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
এসির কোন যন্ত্রাংশ দেশে তৈরি হয়?
নুরুল আফসার: আমরা মূলত কমপ্রেসরই পুরোপুরি আমদানি করি। ইনডোর এবং আউটডোরের অধিকাংশ যন্ত্রাংশই কাঁচামাল আমদানির মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে তৈরি করা হয়। এ ছাড়া এই শিল্পকে ঘিরে বেশ কয়েক ধরনের ছোট ছোট ব্যাকওয়ার্ড কারখানা দেশে তৈরি হয়েছে। যেমন কার্টন তৈরি, ইপিএস তৈরি, লেভেলিং তৈরি ইত্যাদি।
এসি রপ্তানির কি কোনো সম্ভাবনা আছে?
নুরুল আফসার: আমাদের দেশে এসির যে চাহিদা আছে, সেটিকে সমন্বয় করার পর দেশের বাইরে এসি রপ্তানি করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। সম্ভাবনার কথা যদি বলি, সে ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী এসির একটি বিরাট মার্কেট রয়েছে।