বাংলাদেশ ব্যাংক এখনো দুর্বল ব্যাংকগুলোকে প্রশ্রয় দিয়ে ভালো ব্যাংকগুলোকে চেপে ধরার চেষ্টা করছে। সুশাসন ফেরাতে এই নীতি থেকে সরে আসতে হবে। সুনির্দিষ্ট পথনকশা দিয়ে আর্থিক খাতে সংস্কার শুরু করতে হবে। এখন প্রাথমিকভাবে যেসব ব্যাংকের সূচক খারাপ ও তারল্যে ঘাটতি রয়েছে সেগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের মাধ্যমে চালানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
এরপর এসব ব্যাংককে নিরপেক্ষ নিরীক্ষা করাতে হবে, সেটা কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজে বা দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে করাতে পারে। এতে যে ক্ষতির তথ্য পাওয়া যাবে, তা সরকারকে বাজেট থেকে সহায়তা দিতে হবে। তাহলে দুর্বল ব্যাংকগুলো লোকসান থেকে বের হয়ে সমানে সমানে ফিরবে। এরপরই একীভূত করার উদ্যোগ নিতে হবে। কোনো ভালো ব্যাংককে চাপ দিয়ে খারাপ ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা যাবে না। ব্যাংকগুলোকে নিজেদের পছন্দে কাজ করার স্বাধীনতা দিতে হবে।
পাশাপাশি দুর্বল ব্যাংকের ঋণ বন্ধ করে দিয়ে শুধু আন্তব্যাংক ও সরকারের ট্রেজারি বিল-বন্ডে বিনিয়োগের সুযোগ রাখতে হবে। কিছু শাখাও বন্ধ করে খরচ কমিয়ে আনতে হবে। ধাপে ধাপে এসব কার্যক্রম চালাতে হবে। এতে ৩-৫ বছর সময় লেগে যাবে। এ জন্য এখনই প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। ব্যাংক খাত খারাপের যে পর্যায়ে চলে গেছে, তাতে আর সময় দেওয়া ঠিক হবে না।
আহসান এইচ মনসুর, নির্বাহী পরিচালক, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট