এম এ রাজ্জাক খান, চেয়ারম্যান, মিনিস্টার–মাইওয়ান গ্রুপ
কবে থেকে আপনারা ফ্রিজ উৎপাদন শুরু করছেন?
উত্তর: ২০০৫ সাল থেকে আমরা প্রথম ফ্রিজ অ্যাসেম্বলিং শুরু করেছি এবং ২০১৩ সাল থেকে নিজস্ব কারখানায় উৎপাদন শুরু করেছি।
আসছে ঈদুল আজহায় ফ্রিজ বিক্রি নিয়ে আপনাদের পরিকল্পনা কী?
উত্তর: কোরবানির ঈদ ঘিরে আমাদের প্রস্তুতি এখন পর্যন্ত বেশ রমরমা। তবে প্রতিবছরের তুলনায় এবারের চাহিদা তুলনামূলক বেশি। কারণ, এবার অত্যধিক গরমের কারণে ফ্রিজের চাহিদা গ্রাহকদের মধ্যে বেশিই।
ভোক্তার রুচি-পছন্দই প্রথম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। আমরা সব সময় ভোক্তার রুচি অনুযায়ী পণ্য উৎপাদনের চেষ্টা করি।এম এ রাজ্জাক খান, চেয়ারম্যান, মিনিস্টার–মাইওয়ান গ্রুপ
আপনারা ফ্রিজ নিয়ে কীভাবে সামনে এগোচ্ছেন?
উত্তর: ‘লক্ষ্য এবার বিশ্বজয়’ স্লোগান লালন করে মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপ দেশের অন্যতম সেরা ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনকারী ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। শুধু স্থানীয় ইলেকট্রনিকস বাজারেই নয়, শিগগিরই আমাদের ব্র্যান্ডের উপস্থিতি প্রসারিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারেও। দেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের প্রতিটা দেশে পৌঁছে দিতে চাই মেড ইন বাংলাদেশ।
উৎপাদন ও বিক্রির দিক থেকে দেশে ফ্রিজের বাজারে আপনাদের অবস্থান কেমন?
উত্তর: পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশে ফ্রিজের বাজার এখন এক বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি; যার বার্ষিক চাহিদা ৩০ লাখ ইউনিটের বেশি। আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশের ফ্রিজের বাজারের বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ২ শতাংশ হারে। গত কয়েক বছরে মিনিস্টারের মার্কেটও বেড়েছে। রেফ্রিজারেটরের চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশই বর্তমানে পূরণ হয় দেশীয় কোম্পানির রেফ্রিজারেটর দ্বারা; যেখানে মিনিস্টারের অংশীদারত্ব ১৫-২০ শতাংশের মধ্যে।
ফ্রিজ উৎপাদন খাতে আর কী ধরনের নীতি সহায়তা দরকার?
উত্তর: স্থানীয় উৎপাদন বাড়াতে রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ সংযোজন শিল্পে খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হারে শুল্ক কমানো হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশীয় শিল্পগুলোর জন্য আরও এক থেকে দুই বছর করসুবিধা অব্যাহত রাখা হয়েছে। আগামী কয়েক বছর এই সুবিধা বৃদ্ধি করা হলে আমাদের মতো দেশীয় কোম্পানিগুলোর জন্য বিশেষ সুবিধা হবে।
ভোক্তা ও উদ্যোক্তাদের রুচি-পছন্দের সঙ্গে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোর কীভাবে তাল মেলানো উচিত বলে মনে করেন?
উত্তর: ভোক্তার রুচি-পছন্দই প্রথম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। আমরা সব সময় বাজার জরিপ করে ভোক্তার রুচি অনুযায়ী পণ্য উৎপাদনের চেষ্টা করি।
গ্রাহকদের অনেকে বিদেশি ব্র্যান্ডের পণ্য কিনতে পছন্দ করেন। এ পরিস্থিতি পাল্টাতে আপনারা কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?
উত্তর: বিদেশি ব্র্যান্ডের পণ্য কেনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যার মুখে গ্রাহকদের পড়তে হয়, তা হলো অত্যধিক মূল্য। মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্নমধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরেই থাকে সাধারণত এসব পণ্য। তবে মিনিস্টার দেশীয়ভাবে উৎপাদনকৃত ফ্রিজ সব ধরনের ক্রয়ক্ষমতার মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়।
ফ্রিজ কিনতে চাওয়া গ্রাহকদের জন্য আপনারা কী সুবিধা রাখছেন?
উত্তর: আমরা সারা বছর নানা রকম অফার দিয়ে থাকি, যেন ক্রেতারা নিজেদের সাধ্যমতো ভালো পণ্য কিনতে পারেন। এরপরও রয়েছে মিনিস্টারের ০ শতাংশ ইএমআইতে ৩৬ মাসের কিস্তি সুবিধা।