দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পর মেট্রোরেল চালু হয়েছে। বিষয়টি মিরপুর অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের জন্য অবশ্যই ইতিবাচক একটি বিষয়। কারণ, নির্মাণকাজের কারণে দীর্ঘ সময় ধরে মিরপুরের ব্যবসায়ীদের সবাই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। মেট্রোরেল উদ্বোধনের মাধ্যমে সেই অবস্থা এখন কাটল।
ঢাকা শহরে মেট্রোরেল চালু হওয়া একটা বড় ঘটনা। প্রথমত, এর মাধ্যমে যাতায়াতের সময় কমে যাবে। যানজট এড়িয়ে অল্প সময়ের মধ্যে গন্তব্যে যাওয়া যাবে। এতে মানসিক ও শারীরিকভাবে মানুষ উপকৃত হবে। আর যোগাযোগ বাড়লে মিরপুর এলাকার ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডও বাড়বে।
যেকোনো উন্নয়নকাজের কারণে সাময়িক সমস্যা হয়। মেট্রোরেলের নির্মাণকাজের কারণে অন্যান্য ব্যবসায়ীর পাশাপাশি আসবাব খাতের ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হন। কাজীপাড়া–শেওড়াপাড়া এলাকায় রাস্তার দুই ধারে শতাধিক আসবাবের দোকান আছে। নির্মাণকাজের জন্য ওই এলাকার ব্যবসায়ীদের প্রায় ৫০ শতাংশ খারাপ অবস্থায় চলে গিয়েছিল।
নির্মাণকাজের কারণে ওই এলাকার রাস্তা অনেক সরু হয়ে যায়, দীর্ঘক্ষণ যানজট থাকত, সড়কে প্রচুর ধুলা ছিল এবং গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধাও ছিল না। এসব কারণে সাধারণ মানুষ ওই রাস্তা এড়িয়ে চলতে চাইত। তাতে স্বাভাবিকভাবেই ব্যবসা–বাণিজ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
এমনকি অনেক দোকান বন্ধ হয়ে যায়। এখন এসব সমস্যা আর নেই। ফলে যে ক্ষতিটা হয়েছে, তা আস্তে আস্তে কেটে যাবে বলে আশা করছি।
মেট্রোরেলের সুবিধা আরও বেশি কার্যকর হবে, যখন ঢাকার অন্য যোগাযোগ প্রকল্পগুলোর কাজও শেষ হবে। যেমন এখন মেট্রোরেল দিয়ে শুধু উত্তরা থেকে লোকজন মিরপুর আসতে পারবে।
কিন্তু কেউ যদি অন্য এলাকা থেকে আসতে চায়, তার জন্য এটা কোনো উপকারে আসবে না। তাই অন্য প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ হলে মেট্রোরেলের উদ্দেশ্য পরিপূর্ণতা পাবে।
সেলিম এইচ রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, হাতিল ফার্নিচার