ঢাকায় পুলিশ হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান। বাংলাদেশের নথিপত্রে তাঁর নাম রবিউল ইসলাম, ভারতের নথিপত্রে আরাভ খান। তাঁর ব্যবসায়িক ঠিকানা আরাভ জুয়েলার্স, নিউ গোল্ড সুক, দুবাই। আরাভ খানের অপরাধ, তিনি পুলিশ হত্যা মামলার আসামি। এর ফলে আরাভ খান এখন দেশের বহুল আলোচিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, পুলিশ প্রধানসহ দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তাঁকে নিয়ে কথা বলেছেন। গোয়েন্দা পুলিশ তাঁর বিষয়ে জোরেশোরে কাজ শুরু করছে।
এসবই শুরু হয়েছে ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান এবং কয়েকজন বিনোদন ও ইউটিউব তারকার আরাভ জুয়েলার্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দুবাইয়ে যাওয়ার পর থেকে। ফলে আরাভ খানের মতো দুবাইও এখন আলোচনায়।
গত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে পেশাগত কাজে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) গেলে আরাভ খান প্রথম সম্পর্কে জানতে পারি। দেশটিতে প্রায় ২০ বছর ধরে অবস্থান করছেন, এমন একজন পূর্বপরিচিত ব্যক্তি তাঁর মোবাইল থেকে ছবি দেখিয়ে জিজ্ঞেস করেন চেনেন কি না। সঙ্গে তিনি কিছু তথ্য দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ থেকে এর আগে অনেকেই দুবাইয়ে এসেছেন। তবে আরাভ খানের মতো এত অর্থ নিয়ে কেউ আসেননি। অল্প দিনেই বুর্জ খলিফায় ফ্ল্যাট কেনা, একাধিক বাড়ি কেনা, স্বর্ণের দোকানসহ নানা কিছু করেছেন। দেশের অনেকেই তাঁর হাতের মুঠোয়। এ জন্য দেশ-বিদেশের তারকা খেলোয়াড়, চলচিত্র তারকারা তাঁর স্বর্ণের দোকান নিয়ে ভিডিও বার্তা দিচ্ছেন।
এসব তথ্য পেয়ে আমি তাঁর সম্পর্কে জানতে আরও কিছুটা উৎসাহী হই। আরও কিছু খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করি। তাঁর সোনার দোকানের উদ্বোধন, এসব অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন এবং সাকিব আল হাসানসহ তারকারা সেই অনুষ্ঠানে যাওয়া নিয়ে প্রথম আলো অনলাইনে ১১ মার্চ একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর ১৫ মার্চ একাধিক গণমাধ্যমে খবর বের হয়, সাকিব আল হাসান যাঁর ডাকে দুবাই যাচ্ছেন, সেই আরাভ খান পুলিশ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত। তিনি ভুয়া নাম ও পরিচয় ব্যবহার করে ভারতীয় পাসপোর্ট গ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি অবৈধ উপায়ে অর্থ নিয়ে দেশটিতে বিনিয়োগ করেছেন।
তবে দুবাইয়ে বসবাসরত বাংলাদেশিরা তাঁকে দেশি ভাই হিসেবেই চেনেন, যদিও তিনি সেখানে গেছেন ভারতীয় নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট নিয়ে। একজন বাংলাদেশি হিসেবে তিনি দুবাইয়ে বাংলাদেশের শিল্পী সমিতির অনুষ্ঠানে পৃষ্ঠপোষকতা করারও সুযোগ পেয়েছেন। এমন ছবিও আছে, যাতে দেখা যায় দুবাইয়ে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন তাঁকে ক্রেস্টও তুলে দিচ্ছেন।
তবে বাস্তবতা হলো, পুলিশ হত্যা মামলার আসামি হওয়া ছাড়া আরাভ খানের আর যেসব অপরাধের অভিযোগ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, সেই সব অপরাধে অভিযুক্ত অনেক বাংলাদেশিই হেঁটে চলে বেড়াচ্ছেন দুবাইয়ে। বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অপরাধীদের অন্যতম গন্তব্যস্থল সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক শহর দুবাই। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশিরাও পিছিয়ে নেই।
ভারতে গিয়ে রবিউল ইসলাম যেমন আরাভ খান বনে গেছেন, এর আগে আলোচিত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারও বনে গিয়েছিলেন শিবশঙ্কর হালদার। এ পরিচয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে রেশন কার্ড, ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ড, আঁধার কার্ড সংগ্রহ করেছিলেন। দেশটিতে গড়েছিলেন সম্পদ। এখন ভারতে আটক পি কে হালদার। তবে আরাভ খান বহাল তবিয়তে আছেন দুবাইয়ে।
ইউএইর দুবাই, শারজাহ, আজমান, আবুধাবির আবাসন ব্যবসা কয়েক দশক ধরেই জমজমাট। দুবাইয়ে গিয়ে জানা গেল, দেশটিতে বিনিয়োগ করলে টাকার রং সম্পর্কে কেউ প্রশ্ন করে না। কোন উপায়ে সেই টাকা অর্জন করা হয়েছে, সেই টাকার মালিক কোনো অপরাধী কি না, সেই প্রশ্নও ওঠে না। ফলে সারা বিশ্বের মানুষই দেশটিতে বিনিয়োগ করছে। আর দেশটি বিনিয়োগ করার মতো পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। সবার জন্য ব্যবসা করার সুযোগও খুলে দিয়েছে। দুবাইয়ে গড়ে উঠছে একের পর এক বড় অট্টালিকা। যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে রেকর্ড গড়েছে। আর ইউরোপ-আমেরিকার মানের আবহ তৈরি করেছে। ফলে আনন্দ বিনোদনের পাশাপাশি বিনিয়োগ পরিবেশ—সবই দিচ্ছে দেশটি।
বিত্তবান বিদেশিদের আরও আকৃষ্ট করতে ২০১৯ সালে গোল্ডেন ভিসা চালু করে ইউএই। ২০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ অর্থসম্পদের মালিকানা থাকলেই এ ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। বিদেশিদের বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধও শিথিল করা হচ্ছে। লেনদেনের ৭০ শতাংশ করা যাচ্ছে নগদ অর্থে। এ সুযোগ দেওয়ার পরই দুবাইয়ে বাংলাদেশিসহ অনেক দেশের নাগরিকদের সম্পদ কেনার পরিমাণ হু হু করে বাড়তে থাকে। ফলে দুবাই এখন বহুজাতিক ও বহু সাংস্কৃতিক নগর হয়ে উঠছে।
ফুটবলার ডেভিড বেকহাম, বলিউড তারকা শাহরুখ ও শীর্ষ ধনীদের মধ্যে মুকেশ আম্বানি—কে নেই দেশটিতে সম্পদ কেনার তালিকায়। বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, আরব আমিরাতে বিনিয়োগের শীর্ষে রয়েছেন রাশিয়া, চীন, ভারত ও বাংলাদেশিরা। কোন দেশের কত নাগরিক সম্পদ কিনছেন, একসময় তা প্রকাশ করা হতো। এখন আর হয় না। ফলে গোপনই থাকছে কারা দেশটিতে বিনিয়োগ করছেন। এটাও অন্যতম কারণ সেখানে বিনিয়োগ করার। আরাভ খানের মতো অল্প কিছু মানুষই আছেন, যাঁরা ঢাকঢোল পিটিয়ে ব্যবসাকেন্দ্র চালু করেন।
আরাভ খান ঢাকঢোল পেটাতে পারেন, তবে নীরবে সেখানে বিনিয়োগ করেছেন অনেক বাংলাদেশি। দুবাইয়ে থাকার সময় আমাকে অনেকেই দেখিয়েছেন কোন কোন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশি মালিকানার। বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক অবশ্য এখন পর্যন্ত কাউকে আরব আমিরাতে বৈধ পথে বিনিয়োগের অনুমতি দেয়নি। দেশটিতে বৈশ্বিক সব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া এবং আসা–যাওয়া ও টাকা পাঠানো সহজ হওয়ায় বাংলাদেশিরাও দেশটিতে বিনিয়োগ করেছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই বাংলাদেশি নাগরিকত্বের পরিচয় গোপন করে অন্য দেশের পরিচয় ব্যবহার করেছেন। কারণ, এখন টাকা দিলেই মেলে অন্য দেশের পাসপোর্ট।
ইউএইতে জনসংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি বাংলাদেশি, যাঁদের বড় অংশই শ্রমিক। তাঁরা নিয়মিত বাংলাদেশে আয় পাঠান। সেই আয় বা রেমিট্যান্স সেখানেই কিনে নিয়ে দেশে তাঁদের আত্মীয়দের টাকা পরিশোধ করে দেওয়া হয়। এটা একজন-দুজন নয়, এর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন অনেকে। এটি হুন্ডি চক্র নামে পরিচিত, এবং এভাবে প্রবাসী আয় পাঠানো ইউএইতে সবচেয়ে জনপ্রিয়। একই প্রক্রিয়ায় সেখানে টাকা পাঠানোও কঠিন কোনো বিষয় নয়।
বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের বিষয়টি এখন বহুল আলোচিত। হুন্ডিকেই ব্যবহার করা হচ্ছে অর্থ পাচার করতে। আর এ অর্থ পাচারের কারণে দেশ ডলারসংকটে পড়ে। বেড়ে যায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সব ধরনের আমদানি পণ্যের দাম। এরপরও অর্থ পাচারকারীদের ধরতে ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না সরকার ও অর্থ পাচার রোধের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যতম সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ)। কারণ, সবাই চেনা মুখ। কে কাকে ধরবে।
বিদেশে হোটেল, বাড়ি কিনছেন প্রভাবশালীরা। পাচারের কারণে ডলার–সংকট প্রকট হলো। অর্থ পাচার রোধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, এমন প্রশ্ন করেছিলাম বিএফআইইউর শীর্ষ পর্যায়ের এক কর্মকর্তাকে। তাঁর জবাব ছিল, তাঁদের ধরতে ওপরের কোনো নির্দেশনা নেই।
বাংলাদেশিরা অন্যের নামে ও অন্য দেশের নাগরিকত্ব ব্যবহার করে দেশটিতে সম্পদ কিনছেন। তবে নিজ দেশের পরিচয় ব্যবহার করেও কম বাংলাদেশি সম্পদ গড়েননি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজের (সি৪এডিএস) সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি জানিয়েছে, তথ্য গোপন করে দুবাইয়ে সম্পদ কিনেছেন ৪৫৯ জন বাংলাদেশি। ২০২০ সাল পর্যন্ত তাঁদের মালিকানায় সেখানে মোট ৯৭২টি প্রোপার্টি ক্রয়ের তথ্য পাওয়া গেছে, কাগজে-কলমে যার মূল্য সাড়ে ৩১ কোটি ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশি নাগরিকত্ব বহাল থাকছে, কারণ জন্মসূত্রে বাংলাদেশি। অন্যদিকে অর্থের বিনিময়ে আরেকটি দেশের নাগরিকত্ব নেওয়া, এটা যেন এখন ধনী ও উচ্চশিক্ষিত অনেকের অন্যতম অগ্রাধিকার হয়ে উঠেছে। বিনিয়োগের বিপরীতে এখন নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট দেয় অনেক দেশ। এমন দেশগুলোর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মাল্টা, গ্রানাডা, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, ডমিনিকা, আলবেনিয়া, সাইপ্রাস, অ্যান্টিগা, পর্তুগাল, গ্রিস, আয়ারল্যান্ড, সেন্ট লুসিয়া ইত্যাদি।
ফলে যাঁরা দেশ থেকে অর্থ নিয়ে অবৈধ পথে দুবাইয়ে বিনিয়োগ করেছেন, তাঁদের অনেকেই বাংলাদেশি হিসেবে বিনিয়োগ করেননি বলেই আমাকে জানিয়েছেন দুবাইয়ে বাস করা বাংলাদেশিদের অনেকে। তাঁদের জানামতে, বিনিয়োগের আগে এসব ব্যক্তি অন্য কোনো একটি দেশের পাসপোর্ট নিয়েছেন।
ফলে আরাভ খান খুন ছাড়া অন্য যেসব অপরাধে অভিযুক্ত, তেমন অপরাধ আমিরাতে বিনিয়োগ করা অনেক বাংলাদেশিই করেছেন। তাঁদের মধ্যে কেউবা বড় ঋণখেলাপি, আবার কেউ বড় রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী বা অন্য পেশাজীবী।
বাংলাদেশের রেমিট্যান্স তথা প্রবাসী আয় সংগ্রহে ধারাবাহিকভাবে দ্বিতীয় শীর্ষ উৎস ছিল মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশটি এ তালিকার তৃতীয় স্থানে নেমে যায়, তার জায়গা দখল করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর আর হারানো স্থান ফিরে পায়নি দেশটি। কারণ, আরব আমিরাতের কয়েকটি শহর এরই মধ্যে হয়ে উঠেছে বাংলাদেশিদের বিনিয়োগের অন্যতম স্থান। অনেকেই দেশ থেকে অবৈধ উপায়ে অর্থ নিয়ে সেখানে বিনিয়োগ করছেন। এ কারণে ইউএই থেকে বৈধ পথে প্রবাসী আয় আসাও কমে গেছে, যা দেশে ডলার-সংকট তীব্র করেছে।
দুবাইয়ে তিন-চার কক্ষের ফ্ল্যাট কিনতে মোটামুটি খরচ হয় তিন থেকে চার লাখ দিরহাম, যা বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকার সমান। অর্থাৎ রাজধানী ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোর চেয়ে দুবাইয়ে ফ্ল্যাটের মূল্য কম। আমাকে অনেকে বলেছেন, বাংলাদেশি যাঁরা দুবাইয়ে সম্পদ গড়েছেন, তাঁরা অনেকে নথিপত্রে অন্য নাম ব্যবহার করেছেন। কেউ কেউ এখানে অবস্থান করলেও বেশির ভাগ দেশেই থাকেন। মাঝেমধ্যে এসব ভিলায় এসে বাস করেন। কেউ কেউ বাড়ি দেখাশোনার জন্য বাংলাদেশের নাগরিকদের রেখেছেন। আবার কারও কারও বাড়িতে রয়েছেন ভারত-পাকিস্তান বা অন্য দেশের নাগরিক।
গত মাসের শেষ দুই সপ্তাহে দুবাই, শারজাহ, আজমান, আবুধাবি ঘোরার সময় এসব শহরে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা চমকপ্রদ তথ্য দেন, ঘুরিয়ে দেখান বাংলাদেশিদের সম্পদ ও বাড়ি। আজমান রাজ্য এবং দুবাইয়ের পাম জুমেইরা, এমিরেটস হিল, সিলিকন ওয়েসিস, বিজনেস বে—এসব এলাকায় অনেক বাংলাদেশি নিজস্ব ভিলা গড়ে তুলেছেন বলে জানা গেল। শত শত একর জমিও কিনেছেন কেউ কেউ।
একটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও আরেকটি ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান তারকা হোটেল নির্মাণ করছেন। এমিরেটস হিলে একটি ব্যাংকের পরিচালকের রয়েছে বিশালকায় বাড়ি। আজমানে বাংলাদেশিরা শত শত একর জমি কিনেছেন বলেও শোনা গেল। কারা নেই সেই তালিকায়। সরকারের মন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতা, যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর হওয়া এক নেতার ভাই, এক নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান, একাধিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিচালক, ব্যবসায়ী নেতা, মোবাইল ফোন সংযোজন কোম্পানির মালিক, পৌরসভার চেয়ারম্যান—সবাই। আলবেনিয়ার নাগরিক পরিচয়ে হোটেল কিনেছেন বিদ্যুৎ খাতের একজন ব্যবসায়ী। আর বিদ্যুৎ খাতের একাধিক ব্যবসায়ী দেশটিতে আবাস গড়েছেন। এসব ক্ষেত্রে সহায়তা করছেন দেশটিতে থাকা একজন শীর্ষ ব্যবসায়ী।
ফলে আরাভ খানের মতো ব্যক্তি দুবাইয়ে একা নন, তাঁর মতো শত শত বাংলাদেশি দেশটিতে অবৈধ উপায়ে বিনিয়োগ করেছেন। সংখ্যাটি হাজার হাজার হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। তাঁদের অনেকেই বিনিয়োগ করতে নাগরিকত্বের তথ্য গোপন করেছেন। তাঁরাই দেশকে অর্থনৈতিক সংকটের দিকে নিয়ে গেছেন। কিন্তু তাঁদের ধরবে কে, এটাই এখন বড় প্রশ্ন।
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, প্রথম আলো
shanaullah.sakib@prothomalo.com