চাহিদা বৃদ্ধি নয়; বরং খরচ বেড়ে যাওয়াটাই দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতির বড় কারণ। আমরা আমদানিনির্ভর অর্থনীতির দেশে আছি। একসময় প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য ছিল ৮৫ টাকা। এখন সেটি বেড়ে ১২০ টাকা হয়েছে। তার মানে আমদানি ব্যয় প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে গেছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে পণ্য আমদানি কমে যেতে পারে। তাতে উল্টো মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি মানুষের হাতেও টাকা পৌঁছাতে হবে। কারণ, ডলারের বিপরীতে দেশীয় টাকার বড় ধরনের অবমূল্যায়নের কারণে ১০ টাকার পণ্যের দাম বেড়ে এরই মধ্যে ১৫-২০ টাকা হয়ে গেছে।
সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। এতে করে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে গিয়ে অর্থনীতি অস্থিতিশীল হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১ শতাংশ কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। অথচ বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১৪-১৫ শতাংশ করার দরকার ছিল।
ঋণপ্রবাহ ও ব্যাংকঋণের সুদের হারের সঙ্গে বিনিয়োগের সম্পর্ক রয়েছে। তবে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও আর্থিক খাত কতটা স্থিতিশীল তার ওপর বিনিয়োগ নির্ভর করবে। দেশে মার্কিন ডলারের অভাব থাকলে বিনিয়োগে যেতে পারবেন না উদ্যোক্তারা। এখন ব্যবসার পরিবেশ উন্নতি না হলে নতুন বিনিয়োগে যাওয়া কঠিন হবে।
মানোয়ার হোসেন, চেয়ারম্যান, আনোয়ার গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ