তাহসিনুল হক, চিফ বিজনেস অফিসার, ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর
একটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে রেফ্রিজারেটর বাজারের বেশির ভাগ ওয়ালটনের দখলে। কীভাবে সম্ভব হলো?
উত্তর: দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ওয়ালটন রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন টিমের প্রকৌশলীদের মাধ্যমে ওয়ালটন ফ্রিজে সর্বাধুনিক সব
প্রযুক্তি ও ফিচার যুক্ত করা হয়েছে। ওয়ালটন ফ্রিজ যেমন আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, তেমনি দামেও সাশ্রয়ী। ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।
উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তবে উৎপাদন ব্যয় যে অনুপাতে বেড়েছে, সেই হারে আমরা পণ্যের দাম বাড়াইনি।তাহসিনুল হক, চিফ বিজনেস অফিসার, ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর
আপনারা কোন জায়গায় বিশেষ জোর দিচ্ছেন?
উত্তর: দেশীয় রেফ্রিজারেটর বাজারে শীর্ষ স্থান বজায় রাখতে রেফ্রিজারেটর খাতের অটোমেশন, পণ্য গবেষণা ও উদ্ভাবনে অধিক জোর দিয়েছি আমরা। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের নতুন নতুন যে অটোমেশন প্রযুক্তি আছে, সেগুলোর ব্যবহার বাড়াতে বিনিয়োগ করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ফ্রিজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ওয়ালটন কতটা এগিয়ে?
উত্তর: বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ফ্রিজ উৎপাদন আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তাই ওয়ালটন ফ্রিজে ব্যবহার করা হচ্ছে এমএসও প্লাস (ম্যাট্রিক্স স্পিড অপটিমাইজেশন) ইনভার্টার টেকনোলজি। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অব থিংস বেজড এই প্রযুক্তি বাইরের তাপমাত্রা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ খরচে ফ্রিজের অভ্যন্তরীণ সর্বোচ্চ কুলিং পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে।
ফ্রিজের দাম মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের কতটা নাগালে এসেছে?
উত্তর: আগে ফ্রিজ ব্যবহৃত হতো শুধু উচ্চবিত্তের ঘরে। ওয়ালটন ২০০৮ সালে দেশে বাণিজ্যিকভাবে ফ্রিজ উৎপাদন শুরুর পর ফ্রিজের দাম মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তের হাতের নাগালে এসে পড়ে। কাঁচামালের আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তবে উৎপাদন ব্যয় যে অনুপাতে বেড়েছে, সেই হারে আমরা পণ্যের দাম বাড়াইনি।
ওয়ালটন ফ্রিজের দাম কেমন?
উত্তর: ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ফ্রিজ ১৫ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। আছে জিরো ইন্টারেস্টে ৬ মাসের সহজ কিস্তিসহ সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের কিস্তি সুবিধা।
বিক্রয়োত্তর কী কী সেবা আছে?
উত্তর: ওয়ালটন ফ্রিজের আন্তর্জাতিক মানের নিশ্চয়তায় ক্রেতাদের দেওয়া হচ্ছে ১ বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি, ১২ বছরের কম্প্রেসর গ্যারান্টি এবং ৫ বছর পর্যন্ত ফ্রি বিক্রয়োত্তর সেবা।