রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিদেশি ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো শঙ্কিত। সব ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানই অনিশ্চয়তার কারণে ধীরে চলার নীতি নিয়েছে। তাতে আগামী বসন্ত ও গ্রীষ্মের ক্রয়াদেশ অবশ্যই কিছু কমবে।
যুদ্ধ কবে শেষ হবে, সেটি বলা যাচ্ছে না। ফলে আগামী দিনগুলোতে অনিশ্চয়তা থাকবেই। তারপরও বাংলাদেশের সম্ভাবনা অনেক। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান চীন থেকে ব্যবসা সরাচ্ছে। বাংলাদেশ ছাড়া তাদের সামনে ভালো বিকল্প নেই। ক্রেতারা নানাভাবে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশকে প্রস্তুত করার চেষ্টা করছে। তবে সেটিও একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের ভালো সুযোগ আছে।
ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে আমরা বর্তমানে কিছুটা সুবিধা পাচ্ছি। তবে হঠাৎ জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের ব্যয় বাড়বে। নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়লে আরেকটি ধাক্কা আসবে। তাতে আমাদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমবে। টাকার অবমূল্যায়নের কারণে যে সুবিধাটা পেতে শুরু করেছিলাম, সেটি হয়তো আর থাকবে না।
আগামী দিনে ব্যবসার সুযোগ ধরতে হলে ব্যবসার খরচ বাড়তে দেওয়া যাবে না। যত দ্রুত সম্ভব জ্বালানির দাম সমন্বয় করা দরকার। এ ছাড়া গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ ও লিড টাইম কমাতে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়াও প্রয়োজন।
এস এম খালেদ
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, স্নোটেক্স গ্রুপ