বিশ্ব এমএসএমই দিবস আজ। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এ খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে ঋণ প্রদানে। তারপরও অর্থায়নই প্রধান সমস্যা খাতটির। এমএসএমই দিবস সামনে রেখে এই আয়োজন
দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, চাকরির বাজার তৈরি এবং দ্রুত শিল্পায়নের জন্য কটেজ, মাইক্রো, স্মল ও মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজের (সিএমএসএমই) ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসব ছোট ছোট ব্যবসা দেশের অর্থনীতিতে অবিশ্বাস্য অবদান রেখে চলেছে। সে জন্য এই খাতের টেকসই উন্নয়নের জন্য সরকার, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ইন্ডাস্ট্রি-ট্রেড বডি ও ক্লাস্টার অ্যালায়েন্সের জোর সমর্থন থাকা জরুরি। এ খাতের উন্নয়নে অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে; কিন্তু সেগুলোর যথাযথ বাস্তবায়নে সব স্টেকহোল্ডার বা অংশীজনদের সম্মিলিত সহযোগিতা অত্যন্ত প্রয়োজন।
কোভিড-১৯–এর প্রভাবে সিএমএসএমই খাতের অনেক উদ্যোক্তা লোকসানে পড়েন, অনেকের দৈনিক লেনদেন ও আয় কমে। আবার অনেকে চাকরি হারান। কারণ, এই খাত বেশ দুর্বল ও অনেক কম সহনীয়। যাহোক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। উদ্যোক্তাদের ঋণসুবিধা দিতে সরকারের প্রণোদনা ঘোষণার পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক পুনঃ অর্থায়ন ও ক্রেডিট গ্যারান্টি সুবিধাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ায় এ খাত এখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।
সিএমএসএমই খাতে ঋণের সুদহার বৃদ্ধির কিছুটা প্রভাব আছে। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সুদহার সহনীয় পর্যায়ে রেখেছে। যেহেতু পণ্যের বাজার বড় হচ্ছে সেহেতু উদ্যোক্তারা এই সুদহার সমন্বয় করে নিতে পারবেন বলে আশা করা যায়। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক পুনঃ অর্থায়ন ও স্টিমুলাস প্যাকেজ চালু করায় এ খাতের উদ্যোক্তারা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে কম সুদে ঋণ নিতে পারবেন।
তথ্যপ্রযুক্তি, হালকা প্রকৌশল, প্লাস্টিক রিসাইক্লিং শিল্প, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদন এবং হোম টেক্সটাইল খাত সম্প্রতি খুবই ভালো করছে। ফলে এসব খাত দ্রুত এগোচ্ছে। এখন দেশে ও দেশের বাইরে বাজার খোঁজায় আরও জোর দিতে হবে।
আমি মনে করি, ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে সিএমএসএমই খাত খুবই ইতিবাচক এবং অন্যান্য খাতের চেয়ে এই খাতের উদ্যোক্তাদের ঋণ পরিশোধের সদিচ্ছা অনেক বেশি।
মো. নাজিম এ চৌধুরী, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক(ডিএমডি), প্রাইম ব্যাংক