সহজে পাওয়া টাকা কোথায় যাচ্ছে

করোনার কারণে নজরদারি শিথিল। বাড়ানো হয়েছে অর্থের প্রবাহ। উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ না হলে এই অর্থ খেলাপি হয়ে পড়বে।

ব্রোকারেজ হাউসে লেনদেন করছেন বিনিয়োগকারীরা। রোববার দুপুরে মতিঝিল এলাকায়

করোনাভাইরাসের কারণে টাকা সস্তা হয়ে গেছে, পাওয়াও যাচ্ছে সহজে। কম সুদে ব্যাংক ঋণ দিচ্ছে, ঋণের কিস্তি ফেরত দিতে হচ্ছে না, নতুন করে খেলাপির খাতায় নামও উঠছে না। প্রশ্ন হচ্ছে, এই টাকা তাহলে কোথায় কোথায় যাচ্ছে।

গত ছয় মাসে কালোটাকা সাদা করার ক্ষেত্রে নতুন রেকর্ড হয়েছে। নতুন নতুন টাকা ঢুকছে শেয়ারবাজারে, অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। বেড়েছে জমি ও ফ্ল্যাট নিবন্ধন।

অন্যদিকে কোভিডের কারণে বিদেশের সঙ্গে সংযোগ কমে গেছে। মনে করা হচ্ছে, টাকা পাচার ও চোরাচালানও খানিকটা কমেছে। বরং দেশের মধ্যে অর্থের নানা অপব্যবহার বেড়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও সতর্ক করে দিয়ে বলছে, কোভিডের কারণে বিভিন্ন দেশ অর্থসংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণ শিথিল করে দিয়েছে, নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের নজরদারিও কমে গেছে। সুতরাং নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন। কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে এসব অর্থের গন্তব্য কোথায় হবে, সেটাই বড় প্রশ্ন।

গত ছয় মাসে কালোটাকা সাদা করার ক্ষেত্রে নতুন রেকর্ড হয়েছে। নতুন নতুন টাকা ঢুকছে শেয়ারবাজারে, অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। বেড়েছে জমি ও ফ্ল্যাট নিবন্ধন।

কেন এত কালোটাকা সাদা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসেই ১০ হাজার ২২০ কোটি টাকা অপ্রদর্শিত আয় সাদা হয়েছে। এই সুযোগ নিয়েছেন ৭ হাজার ৪৪৫ জন করদাতা। এতে সরকার রাজস্ব পেয়েছে প্রায় ৯৫০ কোটি টাকা। কালোটাকা সাদা হওয়ার ক্ষেত্রে এটি একটি রেকর্ড।

এনবিআর আরও জানায়, নগদ অর্থ, ব্যাংকে জমা রাখা টাকা, ফ্ল্যাট ও জমি বৈধ করেছেন ৭ হাজার ৪৪৫ জন করদাতা। এর বিপরীতে তাঁরা কর দিয়েছেন প্রায় ৯৪০ কোটি টাকা। আর শেয়ারবাজারের মাধ্যমে কালোটাকা সাদা হয়েছে বেশ কম, প্রায় ২২ কোটি টাকা। এ সুযোগ নিয়েছেন ২৫০ জন।

এর আগে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালে ৩২ হাজার ৫৫৮ জন ৩ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা সাদা করেছিলেন। তাতে সরকার রাজস্ব পায় ৬৮৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

অনেকে হয়তো চিন্তা করতে পারে, বিদেশে যেহেতু পাচার করার সুযোগ কমে গেছে, তাহলে দেশের মধ্যেই টাকা রাখি। আবার এমনও হতে পারে, যাঁরা বাইরে টাকা পাঠিয়ে দিতেন, তাঁরা হয়তো পুরোটা না পাঠিয়ে একটি অংশ দেশের মধ্যেই রাখতে চাচ্ছেন।
সায়মা হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক

প্রশ্ন হচ্ছে, এবার এত কালোটাকার উৎস কী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থের অবৈধ ব্যবহার দেশের মধ্যেই হচ্ছে বেশি। করোনাকালে অর্থ পাচারের সুযোগ তুলনামূলক কম থাকায় অনেকেই টাকা সাদা করেছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক সায়মা হক এ নিয়ে প্রথম আলোকে বললেন, অনেকে হয়তো চিন্তা করতে পারে, বিদেশে যেহেতু পাচার করার সুযোগ কমে গেছে, তাহলে দেশের মধ্যেই টাকা রাখি। আবার এমনও হতে পারে, যাঁরা বাইরে টাকা পাঠিয়ে দিতেন, তাঁরা হয়তো পুরোটা না পাঠিয়ে একটি অংশ দেশের মধ্যেই রাখতে চাচ্ছেন। কারণ, এখন তো দেশেই টাকা রাখার সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এভাবে দেখলে অর্থ একেবারে দেশের বাইরে চলে যাওয়ার চেয়ে এটা হয়তো মন্দের ভালো। তবে এর একটা নৈতিক দিক আছে। কেউ কেউ হয়তো ভাবতে পারেন, অর্থ পাচার বা হুন্ডির ঝুঁকি নেওয়ারও দরকার নেই; বরং দেশেই কালোটাকা উপার্জন করি। কারণ, এই টাকা তো সহজে ব্যবহার করা যাচ্ছে। এর ফলে দেশের টাকা দেশে থাকছে ঠিকই, তবে এ সংকেতটাই খারাপ। এতে সততাটাকে সম্মান দেওয়া হচ্ছে না।

কেন এত বেশি প্রবাসী আয়

প্রবাসী আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে অষ্টম। করোনাভাইরাস প্রকোপের শুরুতে গত এপ্রিলে বিশ্বব্যাংক বলেছিল, এবার বাংলাদেশের প্রবাসী আয় ২২ শতাংশ কমবে। এই প্রাক্কলন সঠিক হয়নি। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় ১১ শতাংশ, আর গত ৬ মাসে এই প্রবৃদ্ধি ৪১ শতাংশের বেশি।

কোভিড-১৯–এর কারণে বিদেশ থেকে অনেক শ্রমিক ফিরে এলেও আয় বাড়ছে। যাঁরা ফিরে এসেছেন, তাঁরা সব সঞ্চয়ও নিয়ে এসেছেন। আবার বিদেশে চলাচল সীমিত হয়ে পড়ায় অবৈধ পথে লেনদেন কমে গেছে। ফলে বৈধ পথে আয় বাড়ছে। তবে বড় কৃতিত্ব ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনার। ২০১৯ সালের জুনে দেওয়া বাজেটে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে এই সুবিধা দেন। এখন তো কোনো কোনো ব্যাংক ৩ শতাংশ হারেও নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে।

এর আগে যে প্রবাসী আয়ের একটি বড় অংশ অনানুষ্ঠানিক পথে বা হুন্ডি হয়ে আসত, এ নিয়ে এখন আর সন্দেহ নেই। টাকা পাচারের বড় হাতিয়ার এই হুন্ডি। এর মাধ্যমে লেনদেন হওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ চোরাচালানসহ অবৈধ নানা কাজে ব্যবহৃত হয়। করোনার কারণে হুন্ডির চাহিদাও এখন কম। ফলে আনুষ্ঠানিক পথেই প্রবাসী আয় আসছে বেশি।

শেয়ারবাজার কেন এত চাঙা

দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজার মূলধন ৫ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। বাড়ছে শেয়ার সূচক ও বিনিয়োগ। প্রশ্ন হচ্ছে, শেয়ারবাজারে নতুন নতুন বিনিয়োগের উৎস কী।

শেয়ারবাজারের কর্তৃপক্ষের বদল হয়েছে এক বছর আগে। এর আগের প্রায় ১০ বছরের খায়রুল কমিশনের সময়কাল ছিল শেয়ারবাজারের জন্য অন্ধকার সময়। আস্থার সংকট ছিল সবচেয়ে বেশি। নতুন কর্তৃপক্ষ এসে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়িয়েছে। বাজারে এসেছে রবিসহ কয়েকটি ভালো কোম্পানি। আবার করোনার সময়ে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সংকুচিত হওয়ায় অনেকেই শেয়ারবাজারের দিকে ঝুঁকেছেন। সাধারণ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীরাও এখন আসছেন শেয়ারবাজারে।

সরকার করোনা উত্তরণে ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা তহবিলের ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে ৯২ হাজার কোটি টাকাই ঋণ। সহজ শর্তে ও কম সুদে এই ঋণ দেওয়া হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এই অর্থের একটি অংশ কি শেয়ারবাজারে ঢুকছে? নাম প্রকাশ না করার শর্তে শীর্ষস্থানীয় একটি ব্রোকারেজ হাউসের প্রধান নির্বাহী যেমন প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমানে প্রতিদিন তাঁর ব্রোকারেজ হাউসের মাধ্যমে গড়ে ১০/১২ কোটি টাকার নতুন বিনিয়োগ হচ্ছে।

সুতরাং শেয়ারবাজার চাঙা হচ্ছে—এটি যেমন ভালো সংবাদ, তেমনি এ খাতের নজরদারি বাড়ানোরও প্রয়োজন। অর্থনীতিবিদ সায়মা হক যেমনটি বললেন, কোভিডের কারণে অনেক নিয়মনীতি সহজ বা শিথিল করা হয়েছে। এসব শিথিলতা ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য ঠিক আছে। কিন্তু বড়রা এই সুযোগ কীভাবে নেন, সেটাই আসল প্রশ্ন। এই টাকা পুরোপুরি উৎপাদন খাতে না গেলে একসময় খেলাপি হয়ে পড়বে।

টাকা পাচার কি কমেছে?

মহামারির সময়ে অর্থ পাচারের আনুষ্ঠানিক তথ্য এখন পর্যন্ত কোনো সংস্থা প্রকাশ করেনি। অর্থের অপব্যবহার রোধ বিষয়ে গঠিত আন্তরাষ্ট্রীয় সংগঠন হচ্ছে ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্স (এফএটিএফ) সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে মহামারির সময়ে সরকারি প্রণোদনা তহবিলের অপচয়, বৈদেশিক সহায়তা আত্মসাৎ, বেশি দামে স্বাস্থ্যসেবাসামগ্রী কেনাকাটার মতো কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন দেশকে সতর্ক করে দেওয়া হয়।

বহুল আলোচিত পি কে হালদার অর্থ নিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যান মহামারির প্রকোপ শুরু হওয়ার আগেই। আর এক্সিম ব্যাংকের এমডিকে গুলি করে সিকদার গ্রুপের মালিকের দুই পুত্র রোগী সেজে দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন মহামারির মধ্যেই। তবে মহামারির সময়ে টাকা পাচারের বিষয়টি আলোচনায় নিয়ে আসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

গত নভেম্বরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, কানাডায় টাকা পাচারের গুঞ্জনের কিছুটা সত্যতা তিনি পেয়েছেন। প্রাথমিক তথ্যে দেখেছেন যে টাকা পাচারের ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারীদের সংখ্যাই বেশি। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের পরেই হাইকোর্ট বিষয়টি নজরে এনে দুদকের কাছে তথ্য চায়। দুদক আদালতকে তথ্য দেয় গত ১৭ ডিসেম্বর। এ সময় অর্থ পাচারের অপরাধে ২০১৬ থেকে এখন পর্যন্ত দুদক কতগুলো মামলা করেছে, কতগুলো অভিযোগ তদন্ত করেছে, কত টাকা বিদেশ থেকে ফেরত এনেছে, প্রতিবেদনে সেসব তুলে ধরেন দুদকের আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান। এ সময় বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, ‘এগুলো তো আগে করছেন। পুরাতন কাহিনি বলে তো লাভ নাই। ২২ (নভেম্বর) তারিখের পর কী করেছেন?’

তথ্য পুরোনো, সিদ্ধান্তও পুরোনো

আদালতে দুদক যেমন পুরোনো তথ্য দিয়েছে, তেমনি টাকা পাচার রোধে কাজ করছে এমন সংস্থাগুলোও পুরোনো তথ্যের মধ্যেই আছে। যেমন ২০১৪ সালের ২৮ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে জানিয়েছিলেন, তাঁর সরকার আমানতকারীদের তালিকা চেয়ে সুইজারল্যান্ড সরকারকে অনুরোধপত্র পাঠাবে এবং পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা হবে। প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের পরে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং দুদক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবছর রুটিন করে সুইস ব্যাংক থেকে অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি নেই।

অগ্রগতি না থাকার কারণ জানা গেল মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে দিকনির্দেশনা এবং নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গঠিত ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে। সম্প্রতি এই কমিটির একটি বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকের কার্যবিবরণীতে বলা আছে, ‘সুইস ব্যাংকসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে তথ্য আদান–প্রদানসহ একটি কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশ কর্তৃক অনুসৃত কৌশল পর্যালোচনার জন্য নভেম্বর, ২০১৯–এ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রধান কর্মকর্তা আবু হেনা মোহা. রাজী হাসানের নেতৃত্বে দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার–সম্পর্কিত মামলা, বিদ্যমান আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো, তথ্য বিনিময়ের বিভিন্ন জটিলতা, বিভিন্ন দেশের আইনকানুন পর্যালোচনা করে কার্যকর অর্থ উদ্ধার কার্যক্রমের কৌশল নির্ধারণের লক্ষ্যে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে।’ অর্থাৎ এখনো সরকার সেই তথ্য সংগ্রহের মধ্যেই আছে। অথচ প্রতিবছরই পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ সামগ্রিক বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ‘করোনার কারণে সব দেশে অর্থ প্রবাহ সহজ করা হয়েছে। বাংলাদেশও একই পথে গেছে। তবে দেশে চাহিদা নেই, এ কারণে কেউ বিনিয়োগও করছে না। ফলে কর্মসংস্থানে বড় সংকট তৈরি হয়েছে। ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা ঋণ পাচ্ছেন না। উৎপাদন খাত স্তিমিত হয়ে গেছে।’

সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘সহজে ও কম সুদে যে ঋণ যাচ্ছে, তার প্রকৃত ব্যবহার না হলে খেলাপি হয়ে যাবে। শেয়ারবাজার যেভাবে বাড়ছে, তার যৌক্তিক কোনো কারণও নেই। জমি বেচাকেনাও বাড়ছে। এসব সূচক ভালো ইঙ্গিত দেয় না। এ জন্য সময়োপযোগী নীতিমালা ও তদারকি জোরদার করা প্রয়োজন। অর্থ পাচার ঠেকাতেও সর্বাত্মক চেষ্টা করা উচিত।’