বাংলাদেশের শুধু ১৯ শতাংশ মানুষ ব্যাংকিং সেবার আওতায় রয়েছে এবং প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ আনুষ্ঠানিক আর্থিক সেবা সুবিধা পায় না। দেশের ৪০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ মোবাইল আর্থিক পরিষেবা পাচ্ছেন।
২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা গ্রামীণ অঞ্চলে এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং উপশাখা খোলার মাধ্যমে সবার জন্য ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সুবিধা গ্রামাঞ্চলে এজেন্ট ব্যাংকিং পরিষেবাগুলোকে সহজ করে দিয়েছে। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ফলে যুবকদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
২০১৮ সালে আমরা এজেন্ট ব্যাংকিং চালু করার পর এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০ আউটলেট চালু করা হয়েছে। দেশের যেসব এলাকায় কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাংকিং পরিষেবা পাওয়া যায় না, সেখানে এই এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালুর চেষ্টা করছি। এরই মধ্যে আমরা প্রায় ৫০ হাজার হিসাব খুলতে সক্ষম হয়েছি। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আওতায় ২০০ কোটি টাকার আমানত জমা হয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ধীরে ধীরে এজেন্ট ব্যাংকিং আমাদের এবং বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর জন্য আমানত সংগ্রহের একটি শক্তিশালী উৎস হয়ে উঠবে।
২০২০ সালে প্রিমিয়ার ব্যাংক সারা দেশে ৭০০ নতুন আউটলেট খোলার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। পাশাপাশি এ বছর থেকে আমরা ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের জন্যও পরিকল্পনা করছি, যা এজেন্ট ব্যাংকিংকে লাভজনক করতে সহায়তা করবে।
লেখক: এমডি, প্রিমিয়ার ব্যাংক