সরাসরি নতুন বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) টানার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলেছে চীন। গতকাল রোববার জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা আঙ্কটাডের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে দেখা গেছে, বিদায়ী বছর যুক্তরাষ্ট্রে সরাসরি বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এর মাধ্যমে শীর্ষস্থান হারিয়েছে দেশটি।
আঙ্কটাডের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর চীনা কোম্পানিতে সরাসরি বিনিয়োগ ৪ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধ্যমে গত বছর চীনে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ১৬ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার আর যুক্তরাষ্ট্রে পেয়েছে ১৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। আঙ্কটাডের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২০ সালে বিশ্বে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ৪২ শতাংশ। আগের বছরের দেড় ট্রিলিয়ন থেকে কমে হয়েছে ৮৫ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। ১৯৯০ সালের পর এমনটা আর দেখা যায়নি।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার ১০০ কোটি ডলার। চীনের হয় ১৪ হাজার কোটি ডলার। যদিও নতুন করে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে চীন এগিয়ে তবুও মোট সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের হিসেবে এখনো শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিশ্লেষকরাও বলছেন, দশক ধরে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে বেশ ভালো আস্থার জায়গা তৈরি করেছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতি চীন। এই পরিসংখ্যান এটাই ইঙ্গিত করে যে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে চীন। এর আগে যুক্তরাজ্যভিত্তিক অর্থনীতি ও ব্যবসায় গবেষণা কেন্দ্র সিইবিআর অনুসারে পূর্বাভাস দেয়, ২০২৮ সাল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে ছাড়িয়ে যাবে চীন। নতুন পূর্বাভাস তারই প্রতিচ্ছবি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০১৬ সালে সর্বোচ্চ বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওই বছর দেশটিতে এই বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৪৭ হাজার ২০০ কোটি ডলার। অন্যদিকে, চীন পেয়েছিল মাত্র ১৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ। তবে এর পরের বছর, অর্থাৎ ২০১৭ সাল থেকে চীনে বিনিয়োগ বাড়তে থাকে, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে কমতে থাকে।