রোজার আগে দেশের বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখতে চিনি আমদানির ওপর আরোপ করা নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন। অপরিশোধিত ও পরিশোধিত দুই ধরনের চিনি আমদানিতে বর্তমানে ৩০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আছে। এই হার কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন। এ ছাড়া চিনি চোরাচালান বন্ধে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শও দিয়েছে সংস্থাটি।
আজ রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের কাছে এ–সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছে ট্যারিফ কমিশন।
ট্যারিফ কমিশন বলছে, রোজার মাসে চিনির চাহিদা বাড়ে। দুই বছর ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বেশ বেড়েছে। গত এক মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত চিনির মূল্য প্রতি টনে ৩৯৪ থেকে বেড়ে ৪৭৬ ডলার হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির হার ২০ শতাংশ। এমন পরিস্থিতিতে রোজার মাসে স্থানীয় বাজারে চিনির দাম সহনীয় রাখতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক কমানোর সুপারিশ করে ট্যারিফ কমিশন।
বর্তমানে প্রতি টন চিনিতে তিন হাজার টাকা শুল্ক দিতে হয়। এ ছাড়া ৩০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ৭ শতাংশ অগ্রিম কর দিতে হয়।
২০২৩–২৪ অর্থবছরে দেশে ১৫ লাখ ২৮ হাজার টন পরিশোধিত ও অপরিশোধিত চিনি আমদানি হয়েছে।
ট্যারিফ কমিশনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, রোজার সময়ে চিনির দাম যাতে সহনশীল থাকে, সে জন্য ট্যারিফ কমিশন নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে। এ ছাড়া গত বছর চিনি আমদানি পাঁচ লাখ টন কমেছে। পাশের দেশে চিনির দাম কম থাকায় চিনি চোরাচালান হয়ে আসছে। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বাড়তি থাকায় এনবিআরের রাজস্ব আদায় কমেনি। তাই নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক কিছুটা কমালেও শুল্ক–কর আদায় তেমন একটা কমবে না।