ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আমদানিতে শুল্কায়ন জটিলতার নিরসন চান ইস্পাত খাতের ব্যবসায়ীরা

কাঁচামাল ও মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে পণ্যের শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সহজ করার আহ্বান জানিয়েছেন লোহা ও ইস্পাতশিল্প খাতের উদ্যোক্তারা। একই সঙ্গে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার বিষয়েও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ব্যবসায়ীরা।

আজ শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের আয়রন, কার্বন স্টিল, স্টেইনলেস স্টিল ও রি-রোলিং ইন্ডাস্ট্রি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এই আহ্বান জানানো হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে অংশ নেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও শাহরিয়ার স্টিল মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস কে মাসুদুল আলম।

মাহবুবুল আলম বলেন, শুধু ইস্পাতশিল্প নয়, সব খাতেই আমদানি করা পণ্যের শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সহজ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দীর্ঘদিন ধরেই আমরা শুনে আসছি, বন্দরে আমদানি করা পণ্যের ইনভয়েস ভ্যালুর তুলনায় অনেক বেশি অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু ধরে শুল্কায়ন করা হয়। এখানে আমাদের কাজ করতে হবে।

ইস্পাতশিল্পের বিদ্যমান সংকট দূর করতে ব্যবসায়ীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি। একই সঙ্গে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করার ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান আন্তরিক হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সভায় এফবিসিসিআইর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মানুষ। বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে প্রধান উপদেষ্টার ব্র্যান্ড ভ্যালু কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সভার শুরুতে ইস্পাত খাত নিয়ে একটি প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। এতে জানানো হয়, দেশে এখন বার্ষিক মাথাপিছু ইস্পাতের ব্যবহার ৪০ কেজি। প্রতিবেশী দেশ ভারতে বার্ষিক মাথাপিছু ইস্পাতের ব্যবহার প্রায় ৯০ কেজি। বাংলাদেশে আকরিক লোহার খনি না থাকায় চাহিদার প্রায় শতভাগ ইস্পাত আমদানি করতে হয়। এভাবে প্রতিবছর প্রায় ৩০ লাখ টন ইস্পাত আমদানি হয় দেশে।

বৈঠকে মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে ইস্পাত খাতের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন ব্যবসায়ী নেতারা। তাঁরা ব্যাংকঋণের সুদহার স্থিতিশীল রাখা, আয়করের ক্ষেত্রে টার্নওভার ট্যাক্স ও ভ্যাট কমানো, এইচএস কোড–সংক্রান্ত জটিলতা দূর করা, অতিরিক্ত জরিমানা আদায় না করা, যৌক্তিক শুল্কায়ন মূল্যের আলোকে শুল্কায়ন করা ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলেন।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সহসভাপতি মো. মুনির হোসেন, সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী, পরিচালক মো. আমির হোসেন, হারুন অর রশীদ, আজিজুল হক, মো. নিয়াজ আলী চিশতি প্রমুখ।