আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) সাবেক সহসভাপতি কামাল মাহমুদকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বর্তমান পর্ষদ তাঁকে বহিষ্কার করে। কামাল মাহমুদ স্কাইরোজ বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)।
রাজধানীর রিহ্যাব কার্যালয়ে আজ সোমবার সংগঠনের পরিচালনা পর্ষদের পঞ্চম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি রিহ্যাব আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে।
রিহ্যাব জানায়, গত ৩ আগস্ট সংগঠনের তৃতীয় পর্ষদ সভায় সংগঠনের আর্থিক ও প্রশাসনিক বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। তদন্ত শেষে কমিটি এক কোটি টাকার অনিয়মে কামাল মাহমুদের সংশ্লিষ্টতা যাচাইয়ের জন্য গত বৃহস্পতিবার তাঁকে রিহ্যাব অফিসে হাজির হয়ে নিজের বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ দেয়। কিন্তু তিনি রিহ্যাবে হাজির হননি।
রিহ্যাব জানায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রিহ্যাবের এক কোটি টাকার অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করে। সেই তদন্তে অনিয়মের সত্যতা খুঁজে পায় মন্ত্রণালয়, যা ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর রিহ্যাবকে জানায়। যদিও তৎকালীন পর্ষদ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। রিহ্যাবের বর্তমান পর্ষদ বিষয়টি পুনরায় যাচাই-বাছাই করার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি যাচাই করে অনিয়মের প্রমাণ পায়। এ জন্য কামাল মাহমুদকে আত্মপক্ষ সমর্থন বা তাঁর বক্তব্য কী, তা জানার জন্য সুযোগ দিয়েছিল তদন্ত কমিটি। তাঁর বিরুদ্ধে রিহ্যাব ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে আর্থিক অনিয়মেরও অভিযোগ রয়েছে।
রিহ্যাব থেকে বলা হয়েছে, বহিষ্কৃত হওয়ায় কামাল মাহমুদ ও তাঁর কোম্পানি রিহ্যাবের সদস্যপদ–সংবলিত সিল, বিলবোর্ড ও বিজ্ঞাপন প্রচার-প্রদর্শন করতে পারবে না। সেই সঙ্গে তিনি রিহ্যাবের সদস্য পরিচয়ে কোথাও কোনো সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ কিংবা রিয়েল এস্টেট ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন না।
বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে কামাল মাহমুদ প্রথম আলোক বলেন, ‘সংগঠনের ব্যাংক হিসাব থেকে শুধু সভাপতি, জ্যেষ্ঠ সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ অর্থ উত্তোলন করতে পারেন। তা ছাড়া আমি অর্থ উত্তোলন করেছি, এমন কোনো প্রমাণ কেউ দিতে পারবেন না। ফলে আমি অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে যুক্ত নই।’