এবার একটু আগেভাগেই বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) সংশোধনের কাজ শুরু হয়েছে। প্রথমেই বিদেশি সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পগুলোর বরাদ্দ কমানো হচ্ছে।
আগামী মাসে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কর্মকর্তারা। এডিপিতে নেওয়া বিদেশি সহায়তাপুষ্ট নতুন প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে ইআরডি কঠোর হচ্ছে বলে জানা গেছে।
গত সপ্তাহে ৫৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব ও প্রধানদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে ইআরডি। তাতে বলা হয়েছে, প্রশাসনিক অনুমোদন ব্যতীত কোনো নতুন প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব করা যাবে না। কোনো প্রকল্পের মেয়াদ বা খরচ বৃদ্ধির প্রয়োজন হলে সরকারি আদেশের কপি পাঠাতে হবে।
ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম চার মাস জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের ভিত্তিতে সংশোধিত এডিপির বরাদ্দ ঠিক করা হবে। তাঁরা জানান, আগামী মাসে (ডিসেম্বর) বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক করা হবে। সেখানে বিদেশি সহায়তার বরাদ্দ চূড়ান্ত করা হবে। অন্যান্য বছর বিদেশি সহায়তার বরাদ্দ সাধারণত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির দিকে চূড়ান্ত করা হতো।
চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা। এতে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা স্থানীয় উৎস থেকে দেওয়া হচ্ছে। আর এক লাখ টাকা পাওয়া যাবে প্রকল্প সাহায্য হিসেবে। বাকি অর্থ স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলো নিজেদের প্রকল্পে যে অর্থায়ন করছে, তা থেকে জোগান দেওয়া হবে।
বর্তমান এডিপিতে সব মিলিয়ে ১ হাজার ৩৫২টি প্রকল্প আছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় এসে অপ্রয়োজনীয় ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নেওয়া প্রকল্পগুলো বাদ বা সেগুলোতে বরাদ্দ কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। একই সঙ্গে সরকার বিদেশি সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পের গতি বাড়ানোর চিন্তা করছে। তাই সংশোধিত এডিপিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে বলে জানান পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তাঁদের মতে, এক শর মতো প্রকল্প বাদ যেতে পারে।