পেঁয়াজ
পেঁয়াজ

ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আসবে এ সপ্তাহে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসবে। এর ফলে বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এ ছাড়া আগামী দু-এক দিনের মধ্যে খুচরা বাজারে ভোজ্যতেল প্রতি লিটার ১৬৩ টাকা দরে বিক্রি শুরু হবে।

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) নারী উদ্যোক্তাদের আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।

আহসানুল ইসলাম জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ত্রয়োদশ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের সময় ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে তাঁর দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হয়েছে। সেখানে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ পাঠানোর বিষয়ে চিঠি ইস্যু করতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। সেই চিঠি গতকাল তাঁরা হাতে পেয়েছেন। চলতি সপ্তাহ থেকে পেঁয়াজ দেশে আসবে বলে জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনাবিষয়ক টাস্কফোর্সের সভায় সয়াবিন তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত হয়। তাতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১০ টাকা কমিয়ে ১৬৩ টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়। সেদিনই জানানো হয়েছিল, ১ মার্চ থেকে সয়াবিন তেলের নতুন এই দর কার্যকর হবে। তবে খুচরা বাজারে এখনো নতুন দামে তেল বিক্রি শুরু হয়নি।

এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল (১ মার্চ) থেকে মিলগেটে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৬৩ টাকায় ভোজ্যতেল সরবরাহ শুরু হয়েছে। খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়তে দু-এক দিন সময় লাগতে পারে। গতকাল থেকে এ বিষয়ে তদারকি শুরু হয়েছে। আজও প্রতিটি তেলের মিলে আমাদের টিম গেছে।’

শুল্ক ছাড় দিয়ে বাজারে নির্দিষ্ট ধরনের খেজুরের দাম কমানোর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে বলে জানান আহসানুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাজারে অন্তত ১০ ধরনের খেজুর রয়েছে। এর মধ্যে সাধারণ মানুষের জন্য ‘জায়েদি খেজুর’, যা বস্তায় করে দেশে আসে, তার দাম কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে জায়েদি খেজুরের খুচরা ও পাইকারী দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, রমজানের আগে ভোক্তাদের যেন বাড়তি দামে পণ্য কিনতে না হয়, সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। এতে নিত্যপণ্যের দাম যৌক্তিকভাবে কমে আসবে। নিত্যপণ্য নিয়ে ব্যবসায়ী বা অন্য কারও কাছে সরকার জিম্মি থাকবে না। পণ্য আমদানি ও খালাস করা নিয়ে যৌক্তিক কোনো সমস্যা থাকলে তা সমাধান করা হবে। তবে এ ক্ষেত্রে কোনো অজুহাত সহ্য করা হবে না।