ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটে আজ শনিবার সকালে আগুন লেগে পুড়ে গেছে শতাধিক দোকানের জিনিসপত্র। বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে এ আগুন লাগতে পারে বলে মনে করেন ওই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।
আজ বেলা ১১টার দিকে ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটের পাশে কথা হয় ওই মার্কেটের কয়েক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। ঢাকা নিউ সুপার মার্কেট (দক্ষিণ) বণিক সমিতির সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, তাঁরা সকাল পৌনে ছয়টার দিকে মার্কেটের নিরাপত্তারক্ষীদের কাছ থেকে আগুন লাগার খবর পান।
ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘নিরাপত্তারক্ষীরা আমাদের জানিয়েছে, ভোর চারটার দিকে (সাহ্রির সময়) সিটি করপোরেশনের একদল লোক নিউ সুপার মার্কেটের পূর্ব পাশের সিঁড়ি বিনা নোটিশে ভাঙতে আসেন। নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের অনেকবার নিষেধ করেন, সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। অন্তত আগে বিদ্যুৎ–সংযোগ বন্ধ করে নিতে বলেন, কিন্তু সিটি করপোরেশনের লোকজন কারও কথা না শুনে সিঁড়ি ভাঙা শুরু করেন। এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই হঠাৎ মার্কেটের নিচতলা ও তিনতলায় বিকট শব্দ হয় এবং ধোঁয়া বের হতে থাকে।’
ঢাকা নিউ সুপার মার্কেট (দক্ষিণ) বণিক সমিতির বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব কাজী আবুল খায়েরও একই কথা জানান। তিনি মনে করেন, নিয়ম না মেনে, বিদ্যুৎ–সংযোগ বন্ধ না করে সিঁড়ি ভাঙার কারণে আগুন লাগতে পারে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ব্যবসায়ীরা বলেন, গত রমজান মাসে ওই সিঁড়ি ঝুঁকিপূর্ণ বলে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছিল সিটি করপোরেশন। কিন্তু গত এক বছরেও তারা এ বিষয়ে কিছু করেনি।
এদিকে ব্যবসায়ীদের দাবির কয়েক ঘণ্টা পরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এক বিবৃতিতে বলেছে, আগুনের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের কাজের সম্পর্ক নেই। কারণ হিসেবে তারা বলেছে, নিউ মার্কেট সংলগ্ন একটি পথচারী পারাপার সেতুর সঙ্গে নিউ সুপার মার্কেটের সংযোগ দাপ্তরিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। আগুন লাগার আধা ঘণ্টারও আগে তাদের কাজ শেষ হয়।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আরও বলেছে, সেতু বিচ্ছিন্নকরণের স্থান থেকে ৪০০ ফুটেরও বেশি দূরত্বে আগুন লেগেছে এবং সেতু বিচ্ছিন্নকরণের কাজে গ্যাস কাটার ব্যবহার করা হয়নি।
এদিকে রাজধানীর মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনায় আশপাশের এলাকার বেশ কয়েকটি মার্কেটের কয়েক হাজার দোকানপাটে বেচাকেনা বন্ধ রয়েছে। দেখা গেছে, সায়েন্স ল্যাব মোড় থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ। এ কারণে পুরো এলাকায় অধিকাংশ মার্কেটের দোকানপাটই বন্ধ রয়েছে।