বিশ্বের ধনীদের অভিজাত তালিকায় এবারও আছেন বাংলাদেশের মুহাম্মদ আজিজ খান। ফোর্বস ম্যাগাজিন ২০২৪ সালে বিশ্বের শতকোটিপতিদের যে তালিকা করেছে, সেখানে স্থান পেয়েছেন সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে এই প্রতিবেদন লেখার সময় আজিজ খানের সম্পদমূল্য ১ দশমিক ১ বিলিয়ন বা ১১০ কোটি ডলার। ফোর্বসের শতকোটিপতিদের তালিকায় তাঁর অবস্থান ২ হাজার ৫৮২। ২০২৪ সালের তালিকা অনুসারে, এখন বিশ্বে মোট শতকোটিপতির সংখ্যা মোট ২ হাজার ৭৮১ জন। এ ছাড়া ফোর্বস ম্যাগাজিন যে ২০২৩ সালে সিঙ্গাপুরের ৫০ জন ধনীতম ব্যক্তির তালিকা করেছিল, সেখানে আজিজ খানের অবস্থান ছিল ৪১তম।
২০২৩ সালে সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকা অনুসারে আজিজ খানের সম্পদমূল্য ছিল ১১২ কোটি ডলার। ২০২২ সালের তালিকা অনুসারে তাঁর সম্পদমূল্য ছিল ১০০ কোটি ডলার।
সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান বর্তমানে সিঙ্গাপুরে বসবাস করেন। ফোর্বস ম্যাগাজিন বলছে, তাঁর সব ব্যবসা বাংলাদেশে। বিদ্যুৎ, বন্দর, ফাইবার অপটিক ও আবাসন খাতে ব্যবসা আছে আজিজ খানের।
ফোর্বস জানিয়েছে, ২০১৯ সালে মুহাম্মদ আজিজ খান জাপানি প্রতিষ্ঠান জেরার কাছে সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের ২২ শতাংশ শেয়ার ৩৩ কোটি মার্কিন ডলারে বিক্রি করে দেন। সেই বিক্রয়মূল্যের ওপর ভিত্তি করে তখন সামিট পাওয়ারের বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার।
ফোর্বসের ২০২২ সালের সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনীর তালিকায় আজিজ খানের অবস্থান ছিল ৪২ নম্বরে। ২০২৩ সালে সেই তালিকায় এক ধাপ অগ্রগতি হয় আজিজ খানের।
২০২১ সালে মুহাম্মদ আজিজ খানের সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯৯ কোটি মার্কিন ডলার। ২০১৯ সাল থেকে তাঁর সম্পদ ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। ২০২২ সালে তা বিলিয়ন ডলার বা ১০০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়। ফলে তিনি ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার বা শতকোটিপতিদের তালিকায় স্থান পান।
জানা যায়, সামিটের যাত্রা শুরু হয় ট্রেডিং কোম্পানি হিসেবে। পরে বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবসায় ভালো করে তারা। বিদ্যুৎ খাতের ব্যবসায় তাদের দ্রুত অগ্রগতি হয়। ১৯৯৮ সালে সামিটের প্রথম বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে যায়।