আসন্ন পবিত্র রমজান সামনে রেখে খেজুরের আমদানি শুল্ক কমিয়েছে সরকার। পাশাপাশি রোজার ইফতারির অন্যতম অনুষঙ্গ এই পণ্যটির অগ্রিম কর পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়েছে। সরকারে নির্দেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর আজ বৃহস্পতিবার এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে।
এনবিআর জানিয়েছে, বিভিন্ন ধরনের খেজুর আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ২৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। সেই সঙ্গে আমদানি পর্যায়ে আরোপিত অগ্রিম কর পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে। খেজুর আমদানির ক্ষেত্রে এই সুবিধা আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। অর্থাৎ আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত খেজুর আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক ও অগ্রিম কর ছাড়ের এই সুবিধা পাবেন আমদানিকারকেরা।
আমদানিকারকেরা জানান, শুল্কের কারণে আমদানি করা খেজুরের দাম দেশে আসার পর অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। আমদানি নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার ২০২২ সালে খেজুরসহ বিভিন্ন পণ্যের ওপর শুল্ককর বাড়িয়ে দিয়েছিল। খেজুর আমদানিতে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক, ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট), ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর, ৫ শতাংশ অগ্রিম কর ও ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক মিলিয়ে মোট করভার প্রায় ৫৯ শতাংশ।
আমদানিকারকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় খোলা খেজুর। এ ছাড়া আজওয়া, মরিয়ম, মেডজুল—এ ধরনের দামি খেজুর আমদানি করা হয় রোজা সামনে রেখে। সবচেয়ে বেশি আমদানি হওয়া খোলা খেজুরের আমদানি মূল্য প্রতি কেজি গড়ে ৬১ সেন্ট হলে তাতে ডলারপ্রতি দর ১২০ টাকা ধরে দাম পড়ে ৭৩ টাকা। এ–জাতীয় খেজুর আমদানিতে ব্যবসায়ীদের প্রতি কেজিতে ৫২ টাকা শুল্ককর দিতে হয়। তাতে আমদানি খরচ বেড়ে দাঁড়ায় ১২৫ টাকা। একইভাবে অন্যান্য খেজুরের দামও শুল্কের কারণে বেড়ে যায়। তাতে রোজার সময় দেখা যায় খেজুরের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ে। এবার যাতে সেটি না হয়, তার জন্য আগেভাগেই শুল্ক ও কর কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আগামী মার্চের শুরুতে দেশে রোজা শুরুর কথা রয়েছে। সেই হিসাবে রোজা সামনে রেখে এখনই আমদানিকারকেরা খেজুর আমদানি শুরু করেছেন।